নিউ ইর্য়কের বাংলাদেশ কনসুলেটে স্মরণ করা হয়েছে বাংলা সাহিত্যের দুই মহীরুহকে।
Published : 30 Nov 2015, 04:32 PM
নিউ ইয়র্কে স্বাধীন বাংলা বেতারের চার শিল্পীর সঙ্গীতানুষ্ঠান
প্রয়াত দুই সহযোদ্ধাকে স্মরণ করল যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
নিউ ইয়র্কে পাকিস্তান কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ ৮ ডিসেম্বর
সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি: গণসঙ্গীতে যুক্তরাষ্ট্র উদীচীর আনন্দ উদযাপন
প্যারিসে হামলার নিন্দায় নিউ ইয়র্কের বাঙালিরা
বাংলাদেশে সন্ত্রাস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের উদ্বেগ
নিউ ইয়র্কে বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে বারকাত
নিউ ইয়র্কে জেলহত্যা দিবস পালিত
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনসুলেট মিলনায়তনে শনিবার এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ‘সমস্যা সংকুল পৃথিবীতে তারা শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছেন। লেখনীর মধ্য দিয়ে তারা মানবতার জয়গান গেয়েছেন।’
এই দুই কবির অসাধারণ সাহিত্য কর্মের উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন , ‘বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলাম তাদের লেখায় সার্বজনীনতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা কথা বলেছেন।’ সারাবিশ্বে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা এবং জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় তাদের লেখনীর চেতনা খুবই প্রাসংগিক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলাম দু’জন তাদের গান, কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প ও নাটকের মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করেছেন।’
‘তাদের কবিতা ও গান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ব্যাপক উৎসাহ যুগিয়েছিল’- উল্লেখ করেন সোহরাব উদ্দিন।
কনস্যাল জেনারেল মো. শামীম আহসান তার স্বাগত বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের অবদান সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঢাকা নিয়ে আসেন এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান ও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন।’
লেখক-সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের জ্ঞানসমৃদ্ধ সাহিত্যকর্ম আধুনিক যুগের জ্ঞানচর্চার পাথেয় বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে কাদেরী কিবরিয়ার গানে আবিষ্ট হয়েছেন উপস্থিত শ্রোতারা।
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা সরাসরি আমাদের জানান। নাম, ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় [email protected]