সময় যত গড়িয়েছে চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেটে স্পিনারদের জন্য সহায়তা তত বেড়েছে। সাকিব আল হাসান মনে করেন, চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা থাকলে এখানে টিকে থাকা খুব কঠিন ছিল না। অধিনায়কের কাছে প্রথম টেস্টের উইকেট আনপ্লেয়েবল নয়।
Published : 24 Nov 2018, 04:23 PM
সময় যত গড়িয়েছে রান করা তত কঠিন হয়েছে। রানের জন্য, টিকে থাকার জন্য আরও বেশি সংগ্রাম করতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। তবে নিজেদের ঠিকঠাক প্রয়োগ করলে যে টিকে থাকা সম্ভব ছিল সাকিবের কাছে তার উদাহরণ দুটি পঞ্চাশ ছোঁয়া নবম উইকেট জুটি।
“প্রতিটি উইকেটই আমার কাছে ভিন্ন মনে হয়। এই উইকেটকে আনপ্লেয়েবল বলব না। কারণ, তা না হলে দুই ইনিংসে নবম উইকেটে ৫০/৬০ রানের জুটি হতো না। তাই এই উইকেট অবশ্যই আনপ্লেয়েবল ছিল না।”
সাকিবের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটও মনে করেন, উইকেটে ভয়ের কিছু ছিল না। বল অনুযায়ী খেলে টিকে থাকা সম্ভব ছিল।
“বল পুরান হয়ে গেলে ব্যাটিং করা সহজ ছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল জুটি গড়ার। তেমন কোনো জুটি গড়তে না পারায় ভুগতে হয়েছে আমাদের।”
স্পিন স্বর্গে তিন দিনের মধ্যে প্রথম টেস্ট ৬৪ রানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক জানান, দেশের মাটিতে এই ধরনের উইকেটেই খেলতে চান তারা।
“দেশের মাটিতে যে ধরনের উইকেট হওয়া উচিত কিংবা দরকার, সেই ধরনের উইকেটই এবার তারা বানানোর চেষ্টা করেছেন। উইকেট যেমনই হোক আমরা যদি ভালো জায়গায় বল না করি তাহলে কিছুই কাজে আসে না।”
ঢাকা টেস্টের সম্ভাব্য উইকেট প্রসঙ্গে বলার সময় সাকিব জানান, উইকেট নিয়ে দলের চাওয়ার ব্যাপার দলের ভেতরেই রাখতে চান তিনি।
“উইকেট প্রস্তুত করবেন কিউরেটর। আমরা কি প্রত্যাশা করি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এগুলো নিয়ে বেশি কথাও বলা উচিত না। সেটা আমাদের খুবই ভেতরের কথা, আর ভেতরের কথা ভেতরে থাকলেই আমি খুশি হব।”
অন্য একটি প্রসঙ্গে বলার সময় নিজে থেকেই আবার উইকেটের প্রসঙ্গে ফিরে গেলেন সাকিব। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার দেশের বাইরে ভালো করতে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার কথা বললেন।
“পিচ নিয়ে আমরা অত কিছু চিন্তা করি না। আমার মনে হয় না, এখন এমন কোনো দল আছে যারা দেশের বাইরে ভালো করছে। সাধারণত সবাই দেশের বাইরে গিয়ে সংগ্রাম করে। আমরাও জানি, আমরা বাইরে গেলে সংগ্রাম করি। দেশের বাইরে খেলার জন্য তাই খুব ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে।”
“আমি ১১/১২ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি এর মধ্যে আট বছরই হয়তো ফ্ল্যাট উইকেটে বল করেছি। এখন আমাদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এখন স্পিনিং উইকেটে বোলিং করছি। দেশের মাটিতে এমন উইকেটেই তো খেলা প্রয়োজন।”