আঙুলের চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়েই দুই মাস পর মাঠে ফিরেছেন সাকিব। ম্যাচের আগে অনুশীলন করতে পেরেছিলেন কেবল চার দিন, ব্যাটিং করেছিলেন তিন দিন। টেস্ট শুরুর আগের দিন তার নিজের মনেই ছিল সংশয়ের মেঘ। জানিয়েছিলেন, নিজের খেলা নিয়ে নিশ্চিত নন।
সংশয় কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত টস করেছেন ম্যাচে। পারফরম্যান্সেও খারাপ হয়নি ফেরা। প্রথম ইনিংসে ৩৪ রান করার পথে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েছেন মুমিনুল হকের সঙ্গে। বল হাতে নিজের প্রথম বলেই নিয়েছেন উইকেট, প্রথম ওভারে দুটি। দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। জোমেল ওয়ারিক্যান ও সুনিল আমব্রিসের জুটি যখন বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে, তখন ওয়ারিক্যানের ক্যাচ নিয়ে ভেঙেছেন জুটি।
নিজের পারফরম্যান্সের সঙ্গে দলের দারুণ জয়, সব মিলিয়েই হয়তো দারুণ মেজাজে ছিলেন সাকিব। তবে ম্যাচ শেষে হাসি মুখেই জানালেন, ম্যাচের আগে নিজেই ছিলেন সংশয়ে।
“ড্রেসিং রুমে অনেক নার্ভাস ছিলাম। তবে যখন মাঠে নেমেছি, তখন যতটা ভেবেছি, ততটা নার্ভাস আর লাগেনি। প্রথম বল পুরোই আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। খুব ভাগ্যবান ছিলাম।”
“চাপ সব থেকে বেশি ছিল শেষ ক্যাচটিতে। কারণ জুটি হওয়া শুরু হয়েছিল, সবাই দেখি হালকা হালকা প্যানিকড হওয়া শুরু করছিল। যদিও আমি অনেক ঠাণ্ডা ছিলাম। ওই সময় বল যখন মাথার উপরে ঘুরছিল, তখন ওই জিনিসগুলো মাথায় আসছিল। মনে হচ্ছিল, যদি মিস হয়, তখন বাকিরা আরও প্যানিক করবে। তবে সব ঠিকঠাক মত শেষ হয়েছে, এটাই আসলে সবচেয়ে বড় পাওয়া।”
এই টেস্ট উতরে যাওয়ার পর সাকিব আত্মবিশ্বাসও ফিরে পেয়েছেন অনেকটা। পরের টেস্ট শুরু শুক্রবার। তার আশা, এই সময়ে ফিট হয়ে উঠবেন আরও।
“বেশ কয়েক দিন সময় আছে। ফিটনেসের কিছু কাজ করতে পারবো। প্রথম টেস্ট খেলার আগে তিন সেশন ব্যাট করেছি মাত্র। কোনো ফিটনেসের কাজ না করে, দুই মাস পরে এসে এটা খুবই সামান্য। আমার জন্য কঠিন ছিল। ভালোমতো ম্যাচটা শেষ করেছি। আমি নিশ্চিত, আরেকটু ভালো অবস্থায় আমি পরের ম্যাচটা খেলতে পারব।”