চট্টগ্রাম টেস্টে বোলিংয়ের প্রথম ইনিংসে নাঈম হাসান নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। গড়েছেন অভিষেকে সবচেয়ে কম বয়সে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ফেরা সাকিব প্রথম ওভারে দুটিসহ নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। অন্য দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম নিয়েছিলেন একটি করে।
দ্বিতীয় ইনিংসে উল্টো ছবি। এবার নাঈম উইকেট পাননি, তাইজুল নিয়েছেন ৬টি। সাকিব ও মিরাজ দুটি করে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক এই স্পিন আক্রমণেরও নেতা। ম্যাচ শেষে প্রশংসার পাশাপাশি দেখিয়ে দিলেন উন্নতির জায়গাটুকুও।
“আমাদের যেই সব স্পিনারই খুবই মানসম্পন্ন স্পিনার, বিশেষ করে যদি উইকেটে একটু সহায়তা থাকে। উইকেটে একদম সহায়তা না থাকলে আমাদের বল তেমন কার্যকর মনে হবে না। একটু সাহায্য পেলে আমরা অনেক ভালো বোলার। তবে আমাদের একটা জায়গায় সার্বিক উন্নতি করা উচিত। আমাদের গেইম সেন্সটা থাকা উচিত, কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে।”
“হতে পারে একজন খুব আক্রমণাত্মক বোলার, কিন্তু একদিন তার উইকেট নাও আসতে পারে। হয়তো অন্য পাশ থেকে আরেকজন উইকেট পাচ্ছে। আরেক পাশ থেকে সঙ্গীর উচিত রান না দিয়ে বল করে যাওয়া। দলের জন্য করা, বোলিং পার্টনারের জন্য করা। এই সেন্সটা যদি আমরা একটু ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমি মনে করি, বোলিং আক্রমণে স্পিনাররা আরও ভালো করতে পারব।”
সতীর্থ স্পিনারদের বোলিংয়ের যা ধরন, তাতে রান আটকানো বা ব্যাটসম্যানকে উইকেটে আটকে রাখার কাজটা তাদের জন্য কঠিন। সেই বাস্তবতা জানেনও সাকিব। এরপরও জুটি বেঁধে বল করা, দলের প্রয়োজনের বাস্তবতা উপলব্ধি করা, এসব জায়গায় উন্নতি চান অধিনায়ক।
“আমরা যারা আছি স্পিনাররা, সবাই খুব আক্রমণাত্মক বোলার। আমাদের জন্য রক্ষণাত্মক বল করাটা অনেকসময় কঠিন হয়ে যায়। আমরা সবসময় আগ্রাসনকেই বেছে নেই। আমাদের বুঝতে হবে, জানতে হবে, কখন টানা দুই- তিন ওভার রান না দিয়ে বল করে যাব। অন্য পাশে যেন আরেকজন আক্রমণ করতে পারে। এই জিনিসগুলো জানা একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
“চারজনই আক্রমণাত্মক বোলার হওয়া একদিক থেকে খুব ভালো, আবার একটু সমস্যাও। সবসময় আক্রমণই করতে থাকে। এই পাশ থেকে একটু ভালো বল হচ্ছে, আরেক দিক থেকে একটু রক্ষণাত্মক বল করবে, ওরা তা করতে পারে না। সেও উইকেট নিতে যায়। এতে অনেক সময় রান বেরিয়ে যায়। এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। তবে সব মিলিয়ে আমাদের জন্য খুবই ভালো যে, এমন চারজন স্পিনার আছে, যারা যে কোনো সময়ে উইকেট নিতে পারে।”