এই সিরিজের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টে চার ইনিংসের একটিতেও ফিফটি করতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ওপেনার। সেই সিরিজে খেলা দুই ওপেনারের একজন, লিটন দাস জায়গা হারালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে। অভিজ্ঞতার বিবেচনায় টিকে গেলেন ইমরুল কায়েস। চট্টগ্রামে তার সঙ্গী, জাতীয় লিগে ভালো করে দলে ফেরা সৌম্য সরকার।
কিন্তু জুটি বদলেও চিত্র বদলাল না। এই টেস্টেও ভালো হয়নি শুরু। প্রথম ইনিংসে ইমরুল তবু ৪৪ করতে পেরেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ২। দুই ইনিংসে সৌম্যর রান ০ ও ১১।
উদ্বোধনী জুটির সমস্যা ভাবাচ্ছে অধিনায়ককেও। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই জানালেন, অপেক্ষা করছেন দেশের সফলতম ব্যাটসম্যানের ফেরার জন্য।
“প্রতি দিন ১০ রানে ২ উইকেট থাকা খুব দুঃখজনক। প্রতিদিনই তো তিন-চার বা পাঁচ-ছয় গিয়ে রান করবে, তার নিশ্চয়তা নেই। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য একটু দুর্ভাবনার। যদি তামিম দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ফিট হয়ে যায়, আশা করি ও ফিট হবে, তাহলে কিছুটা হলেও ভরসার জায়গা তৈরি হবে অবশ্যই।”
সাকিব যেদিন বলছেন, সেদিনই ঢাকায় চোট কাটিয়ে ফেরার লড়াইয়ে বড় এক ধাপ এগিয়েছেন তামিম। ব্যাটিং শুরু করেছেন নেটে। প্রথম দিন ব্যাট করেছেন কেবল স্পিনে। সামনের দিনগুলোয় অগ্রগতির ওপরই নির্ভর করবে মিরপুর টেস্টে তার ফেরা।