সাথিরা জাকিরের আম্পায়ারিংয়ে খেলতে ক্রিকেটারদের আপত্তি বা অনীহা কিংবা অস্বস্তির কোনো ব্যাপার ছিল না, বলছেন সংশ্লিষ্টরা, বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান বললেন, “অহেতুক রঙ চড়ানো হচ্ছে।”
Published : 28 Apr 2024, 08:35 PM
ম্যাচ শুরুর নির্ধারিত সময়ে এ আই এম মনিরুজ্জামানের সঙ্গে মাঠে প্রবেশ করেন সাথিরা জাকির। তার নাম খোদাই হয়ে যায় ইতিহাসে। দেশের ক্রিকেটে প্রথমবার ছেলেদের স্বীকৃত ম্যাচ পরিচালনা করলেন কোনো নারী আম্পায়ার। কিন্তু পরে তিনি আলোচনায় উঠে আসেন আরেকটি কারণে। কিছু সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, সাথিরার আম্পায়ারিংয়ে ম্যাচ খেলতে অনীহা ছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। ক্রিকেটারদের আপত্তির কথাও সরাসরি উঠে আসে খবরে। কিন্তু অনুসন্ধানে উঠে এলো ভিন্ন চিত্র।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত বৃহস্পতিবার সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডান। সেদিনই ছেলেদের ম্যাচ পরিচালনায় অভিষেক হয় সাথিরার। তৃতীয় আম্পায়ার না থাকায় একটি ক্যাচ আউট নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলেও সব মিলিয়ে ভালোভাবেই ম্যাচ শেষ করেন আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলভুক্ত এই আম্পায়ার।
কিন্তু ম্যাচের পরদিন ইংরেজি প্রত্রিকা ডেইলি স্টার-এর প্রতিবেদনে উঠে আসে ভিন্ন খবর। সেখানে বলা হয়, ম্যাচে নারী আম্পায়ার দেওয়ায় কিনা অখুশি ছিল দুই দলই। বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমানের বরাতে ছাপানো হয় এই খবর। যেখানে ইফতেখার বলেন, নিজেদের অসন্তোষের কথা প্রিমিয়ার লিগের আয়োজক সিসিডিএমের (ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস) কাছে অভিযোগ করেছে প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডান। তার সেই বক্তব্যে কোনো ক্রিকেটার বা ক্রিকেটারদের আপত্তির কথার উল্লেখ ছিল না।
একই প্রতিবেদনে বিসিবি সূত্রেরবরাতে বলা হয়, ক্রিকেটারদের চেয়ে মূলত ক্লাব কর্তারাই এই বিষয়ে আওয়াজ তুলেছেন।
ওই প্রতিবেদনের পর দেশের আরও কিছু সংবাদমাধ্যম একই ধরনের খবর প্রকাশ করে। তবে সেসব খবরে প্রাধান্য পায় ক্রিকেটারদের আপত্তির ব্যাপারটি। সাথিরার আম্পায়ারিংয়ে খেলতে ক্রিকেটারদের আপত্তি, এই ধরনের ফটোকার্ড তৈরি করা হয়। দুই দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর নাম তাদের দলের সঙ্গ জড়িয়ে আপত্তি-অনীহার খবর প্রকাশিত হয়, শিরোণাম করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে যা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু দুই ক্লাবের কর্মকর্তা, সিসিডিএমের সদস্য সচিব ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপে ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ বা আপত্তি জানানো হয়নি। তবে ক্লাব কর্তারা যে কিছুপ্রশ্ন তুলেছিলেন, তা অনেকটাই স্পষ্ট।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ম্যানেজার শিকদার আবুল হাশেম বললেন, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একজন আম্পায়ারের অভিষেক করানোয় এটি নিয়ে মূলত নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলেন তারা।
“আমরা আশা করিনি যে, সুপার লিগের এমন বড় একটা খেলায় নারী আম্পায়ার দেওয়া হবে। যে কিনা প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগ করবে। তার তো তেমন অভিজ্ঞতা নেই। আর সে কিন্তু ভুলও করেছে ওই ম্যাচে। একটা আউট যেটা হয়েছিল প্রথমে দেয়নি। পরে যেটা হয়নি, সেটা দিয়েছে। তো এসব নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যেই আর কী বলাবলি করছিলাম।”
পুরো বিষয়টি নিজেদের মধ্যে আলাপে সীমাবদ্ধ ছিল, বেশ জোর দিয়েই বললেন প্রাইম ব্যাংকের ম্যানেজার। একইসঙ্গে আপত্তির জায়গাটাও ফের খোলাসা করেন তিনি। তবে কোনো ক্রিকেটার বা ব্যক্তির নাম বলেননি তিনি।
“অভিযোগ বা আপত্তির বিষয়টা আসলে আনুষ্ঠানিক কিছু হয়নি। আমরা লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ করিনি। যেটা বললাম, নিজেদের মধ্যে তো অনেক ধরনের কথাই হয়। এখানে আপত্তি বা অভিযোগের বিষয় কীভাবে এসেছে, আমি আসলে বলতে পারি না। কিন্তু বড় ম্যাচে আমরা অভিজ্ঞ কাউকে আশা করছিলাম।”
“যাকে (জেসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাকেও সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু আগে যদি প্রাথমিক পর্বের কিছু ম্যাচ করিয়ে তারপর সুপার লিগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিতো, তাহলে হয়তো ভালো হতো। বাংলাদেশে তো এই সংস্কৃতি নেই, নারীদের ম্যাচ পরিচালনার। এটা শুরু হচ্ছে, ভালো ব্যাপার। কিন্তু বড় ম্যাচে আসলে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে। সেটাই মূলত আমরা বলাবলি করছিলাম।”
ওই ম্যাচে মুশফিকের আউট গিয়ে দেখা দেয় বিতর্ক। সীমানার কাছে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন আবু হায়দার। কিন্তু ভারসাম্য ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় সীমানা দড়িতে লেগে যায় তার পা। যা বিসিবির ইউটিউব সম্প্রচারে দেখা যায়। কিন্তু মাঠের আম্পায়ারদের সেটি দেখার কোনো সুযোগ ছিল না। তৃতীয় আম্পায়ার না থাকায় রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ারও নিয়ম নেই প্রিমিয়ার লিগে। তাই ফিল্ডারের কথায় ভরসা রেখেই মুশফিককে আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
আউটের এই সিদ্ধান্তে আম্পায়ারদের যে কিছু করার ছিল না, সেটিও মেনে নিয়েছেন আবুল হাশেম। ম্যাচের পর প্রাইম ব্যাংকের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবালও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমক বলেছিলেন, এই আউটে আম্পায়ারদের কোনো দায় তারা দেননি।
নারী আম্পায়ারের পরিচালনায় ম্যাচ খেলতে অনীহার প্রসঙ্গে মোহামেডান ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তা উড়িয়ে দেন ক্লাবটির ক্রিকেট সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম টিটু।
“এটা পুরোপুরি ফালতু কথা। আমরা আম্পায়ারিং নিয়ে কোনো অভিযোগ করিনি। আম্পায়ার্স কমিটি বা সিসিডিএমের সঙ্গে আমাদের এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। (সাথিরা জাকির) জেসি এখন আইসিসি প্যানেল আম্পায়ার। তার আম্পায়ারিং নিয়ে আমাদের কোনো ইস্যু নেই। এক-দুইটা সিদ্ধান্ত এদিক-ওদিক হতেই পারে। যে কারও ক্ষেত্রেই হতে পারে। সে তো ইচ্ছা করে দেয়নি। আমরাও আম্পায়ারের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করিনি।”
তবে ম্যাচের শুরুতে সাথিরাকে নিয়ে তাদের যে প্রশ্ন ছিল, তা অনেকটাই পরিষ্কার তারিকুলের পরের কথায়।
“তারা (নারী আম্পায়ার) অবশ্যই আম্পায়ারিং করবে। তবে আগে ছোট ম্যাচগুলো করুক। মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক তো বড় ম্যাচ, সুপার লিগের ম্যাচ। প্রিমিয়ার লিগে তো আরও অনেক ম্যাচ হয়েছে আগে। সেখানে ম্যাচ পরিচালনা করে এলে ভালো হতো। এটাই আর কী। এর বাইরে কোনো ধরনের কথা হয়নি। আম্পায়ারিং খারাপ হয়েছে সেটাও বলিনি। ম্যাচ কিন্তু খুব ভালো পরিচালনা করেছে সে।”
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখারের মন্তব্যে জানা যায়, আম্পায়ার নিয়োগ নিয়ে সিসিডিএমের কাছে অভিযোগ করেছে দুই ক্লাব। তবে সিসিডিএমের সদস্য সচিব আলী হোসেন বললেন ভিন্ন কথা।
“এই বিষয়টা আসলে কীভাবে এসেছে জানি না। লিখিত কোনো অভিযোগ দুই দলের কেউ দেয়নি। মৌখিকভাবেও তারা কিছু বলেনি। আমরা গতকাল থেকে সংবাদমাধ্যমেই বিভিন্ন রিপোর্ট দেখছি। আমাদের কাছে এমন কিছু আসেনি।”
“এটা তো আমাদের এখতিয়ারেও পড়ে না। (ইফতেখার রহমান) মিঠু ভাই আসলে কী বলেছেন জানি না। আমাদের কাছে কোনো ক্লাব যদি এই বিষয়ে কিছু জানাত, তাহলে আমরা হয়তো আমাদের জায়গা থেকে কিছু ভেবে দেখতাম। মূলত এই বিষয়ে আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। আমাদের কোনো দিক-নির্দেশনাও নেই।”
সেদিন লিস্ট 'এ' ম্যাচে আম্পায়ারিং অভিষেকের আগে মেয়েদের ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেন সাথিরা। গত মাসে সাথিরাসহ বাংলাদেশের ৪ জনকে আম্পায়ারদের ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করে আইসিসি।এরপর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অন ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন সাথিরা।
তাই ক্লাবগুলো অনভিজ্ঞতার দাবি করলেও সেটি মানতে রাজি নন বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার।অভিজ্ঞতার কারণ দেখিয়ে প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের পক্ষ থেকে যে আপত্তি ছিল, সেটি নিশ্চিত করে ইফতেখার বলেন, মূল আলোচনার বাইরে ভিন্ন পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পুরো বিষয়টি।
“দেখুন, এখানে বিষয়টা খুবই সাধারণ। আমরা তো প্রিমিয়ার লিগে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি নিয়োগের ব্যাপারটা আগে ঘোষণা দেই না। তাই কোনো দল আগে জানে না, কোন ম্যাচে কোন আম্পায়ার থাকবে। তো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে প্রথমবার মেয়ে আম্পায়ার মাঠে নেমেছে। দুই দলই তা দেখে কিছুটা অবাকের মতো হয়েছে। মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংকের ম্যানেজার বলেছে, তারা আলাপ করেছে যে, এরকম অনভিজ্ঞ আম্পায়ার আমরা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামিয়ে দিয়েছি।”
“এখন প্রথমত, এটা অত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ কিভাবে হলো? তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দুই দলের ম্যাচ। আর জেসি তো অনভিজ্ঞ নয়, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আম্পায়ার। তবে, এটাকে অনেকে নারী-পুরুষ বিদ্বেষ হিসেবে তুলে ধরছে। কিন্তু এমন কিছু না। যেটা বললাম, মেয়ে আম্পায়ার দেখে অভিজ্ঞতার দিক থেকে তারা... তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করেছিল। লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ কিন্তু দেয়নি। আমরা বলতে পারি, শুরুতে তারা কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল। কিন্তু পরে আম্পায়ারিং নিয়ে দুই দলই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।”
বিসিবির এই পরিচালক জোর দিয়েই নিশ্চিত করেন, দুই দলের কোনো ক্রিকেটারের অনীহা বা অভিযোগের কথা তার কানে আসেনি।
“না… না… একদমই না। কোনো ক্রিকেটারের আপত্তির কথা আমি শুনিনি। এটা একদম বানানো একটা খবর। কোয়াব থেকেও বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এটা নিয়ে। ক্রিকেটারদের কেউ এমন কিছু বলেনি। বা বললেও সেটা আমাদের পর্যন্ত আসেনি। ড্রেসিং রুমে তো কত কথাই হয়। সব কিছু কি জানা যায়? আমরাযেটা জানি, দুই দলের ম্যানেজার কথা বলেছে। এখন সেটাই মাত্রা ছাড়িয়ে অন্যভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।”
“খুবই ছোট একটা ঘটনা। এটাকে অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। যা ঠিক না। যেটা আগেও বললাম, ক্লাবগুলো পরে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, মূলত অনভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করে তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিল। কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টা সেখানেই কিন্তু শেষ। এর মাঝে ক্রিকেটাররা কীভাবে আসে, আমি জানি না। অহেতুক রঙ চড়ানো হচ্ছে।”
ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (কোয়াব) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ম্যাচ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার সাথিরা আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকে খেলা শুরুর আগে, খেলা চলাকালীন এবং শেষের পর ক্রিকেটাররা অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছিলেন। ম্যাচ শেষের পর ক্রিকেটাররা ম্যাচের সামগ্রিক পর্যালোচনায় সাথিরাকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুপ্রাণিতও করেন।
এছাড়া ম্যাচ পরিচালনা নিয়ে ক্রিকেটারদের আপত্তি বা অনীহার কোনো কথা জানা নেই খোদ সাথিরারও। বরং খেলা শেষে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে দুই দলের ক্রিকেটারদের প্রশংসা পাওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
আপাতত সিলেটে বাংলাদেশ ও ভারতের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত সাথিরা। রোববার সিরিজের প্রথম ম্যাচে মূল আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। আগামী জুলাইয়ে মেয়েদের এশিয়া কাপেও তাকে দেখা যাবে ম্যাচ পরিচালনায়।
আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশেই হবে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওই টুর্নামেন্টে সাথিরা ও দেশের অন্যান্য নারী আম্পায়ারদের দায়িত্ব পালন নিশ্চিতের জন্যই মূলত তাদের যতটা সম্ভব ম্যাচ দিয়ে অভিজ্ঞ করতে চায় বিসিবি। ইফতেখার জানালেন, সেই ভাবনা থেকেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাথিরাকে।
“এই বছর তো আমাদের দেশেই বিশ্বকাপ। আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আমার চাওয়া, ওই টুর্নামেন্টে জেসিকে (সাথিরা) যেন বেশি বেশি ম্যাচ দেয় আইসিসি। সেজন্য তো ওকে যতটা সম্ভব অভিজ্ঞতা দিতে হবে। এখন ভারত সিরিজে আম্পায়ারিং করবে। পরে এশিয়া কাপেও জেসির আম্পায়ারিংয়ের বিষয়টা প্রক্রিয়াধীন আছে। বলা যায়, ভারত সিরিজের আগে প্রস্তুতির জন্যই জেসিকে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে দিয়েছিলাম।”