সবার আগে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল নিউ জিল্যান্ড, নেতৃত্বে যথারীতি কেন উইলিয়ামসন।
Published : 29 Apr 2024, 10:10 AM
এমনিতে কালো রঙেরই প্রাধান্য থাকে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট দলের জার্সিতে। কখনও কখনও ধূসর রঙের ছোঁয়াও দেখা যায়। তবে ব্যতিক্রমও ছিল। ১৯৯৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের নীল জার্সি যেমন নজর কেড়েছিল দারুণভাবে। সেই স্মৃতিই এবার ফিরিয়ে আনছে তারা। অনেকটা ১৯৯৯ বিশ্বকাপের মতো জার্সি গায়েই সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলবে কিউইরা।
২০ দলের মধ্যে সবার আগে সোমবার বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে নিউ জিল্যান্ড। একইসঙ্গে তারা প্রকাশ করেছে বিশ্বকাপের জার্সিও।
বিশ্বকাপ দল ঘোষণায় অনন্য ও ব্যতিক্রমী ধারা তারা ধরে রেখেছে এবারও। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় ক্রিকেটারদের মা, স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের দিয়ে দল ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার দল ঘোষণা করে মাতিলদা ও অ্যাঙ্গাস নামের দুই শিশু।
বিশ্বকাপের দল ঘোষণার শেষ সময় ১ মে। তবে ২৫ মে পর্যন্ত দলে পরিবর্তন আনা যাবে কোনো কারণ দেখানো ছাড়াই।
নিউ জিল্যান্ডের ১৫ সদস্যের দলের ১৩ জনেরই আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা। প্রথমবার এই সংস্করণের বিশ্বকাপে খেলবেন রাচিন রাভিন্দ্রা ও ম্যাট হেনরি।
দুজনেরই দলে থাকা অবশ্য অনুমিতই ছিল। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফর্ম করার পর থেকেই রাভিন্দ্রা সব সংস্করণেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। হেনরি টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত ছিলেন না খুব একটা। তবে ওয়ানডে দলে তিনি নিয়মিত মুখ। তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন ৩২ বছর বয়সী এই পেসার। এখন টেস্টেও নিয়মিত হয়ে উঠেছেন। টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ সিরিজে গত জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার পারফরম্যান্স ছিল ভালো।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সম্ভাব্য দাবি মেটাতে দলে স্পিনের বিকল্প আছে অনেক। বিশেষজ্ঞ স্পিনার ইশ সোধি ছাড়াও স্পিনিং অলরাউন্ডার আছেন মিচেল স্যান্টনার, মাইকেল ব্রেসওয়েল, রাভিন্দ্রা ও গ্লেন ফিলিপস।
চোটের কারণে দীর্ঘদিন বাইরে থাকা ব্রেসওয়েল সম্পতি দলে ফিরে চলতি পাকিস্তান সফরে নেতৃত্ব দিয়েছেন দ্বিতীয় সারির দলকে। বিশ্বকাপেও তার সামর্থ্যে আস্থা রেখেছে দল।
চোটের কারণে এবারের আইপিএলে খেলতে না পারা ডেভন কনওয়ে আছেন বিশ্বকাপ দলে। ইনিংস ওপেন করার পাশাপাশি কিপিংও করবেন তিনি। দ্বিতীয় কিপার প্রয়োজন হলে কাজ চালিয়ে নেবেন আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন। পাকিস্তান সফরে থাকা দুই কিপার-ব্যাটার টিম সাইফার্ট ও টম ব্লান্ডেল জায়গা পাননি বিশ্বকাপে।
পেস বোলিংয়ে দীর্ঘদিনের দুই সৈনিক ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি আছেন যথারীতি। কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বোল্টের এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ছিলেন তিনি। চোটের কারণ বিবেচিত হননি দুই পেসার অ্যাডাম মিল্ন ও কাইল জেমিসন। মূল স্কোয়াডের অংশ না হলেও রিজার্ভ হিসেবে দলের সঙ্গে থাকবেন পেসার বেন সিয়ার্স।
কলিন মানরোর ফেরা নিয়ে টুকটাক আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত জায়গা পাননি তিনি।
কোচ গ্যারি স্টেড ও সহকারী কোচ লুক রনকির সঙ্গে কোচিং স্টাফে বোলিং কোচ হিসেবে আগের মতোই থাকছেন সাবেক অলরাউন্ডার জ্যাকব ওরাম। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে দলকে সহায়তা করা সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার ও কোচ জেমস ফস্টার এবার থাকবেন ফিল্ডিং কোচ হিসেবে।
গায়ানায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামী ৭ জুন শুরু হবে নিউ জিল্যান্ডের বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বে তাদের অন্য গ্রুপ সঙ্গী ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাপুয়া নিউ গিনি ও উগান্ডা।
নিউ জিল্যান্ড বিশ্বকাপ দল: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রাভিন্দ্রা, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, টিম সাউদি।