আগামী ১ জুলাই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রাখা হয়েছে।
Published : 15 May 2024, 09:37 PM
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা মামলায় ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্য দেন সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দিন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. নেছার আহম্মেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দিন স্যারের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আসামি এহতেশামুল হক ভোলা এবং তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছিলেন।
“এ নিয়ে মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। আদালত আগামী ১ জুলাই এই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।”
বুধবার আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের ধার্য দিনে আসামি বাবুল আক্তার হাজির ছিলেন।
এই মামলায় মোট সাক্ষী ৯৭ জন। গত বছরের ৯ এপ্রিল মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যের মধ্যে দিয়ে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ইতিমধ্যে মিতু মা শাহেদা মোশাররফসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সে সময়কার চট্টগ্রামের পুরিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এসপি বাবুল ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে বদলি হন। তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সাড়ে তিন বছর তদন্ত করেও ডিবি পুলিশ কোনো কূলকিনারা করতে না পারার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই।
এরপর ২০২১ সালের মে মাসে পিবিআই জানায়, স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল বাবুল আক্তারের ‘পরিকল্পনায়’। আর এজন্য খুনিদের ‘লোক মারফত তিন লাখ টাকাও দিয়েছিলেন’ বাবুল।
পরে বাবুলের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর মিতুর বাবা আরেকটি মামলা করেন। তবে সেই মামলা আদালতে না টেকার পর বাবুলের মামলাটিই পুনরুজ্জীবিত হয়।
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। তাতে বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। এরপর গত বছরের ১০ অক্টোবর সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।