“শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সিসিসির যে ব্যাপক কার্যক্রম তা কেবল হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অল্প কিছু খাতের আয় দিয়ে করা সম্ভব নয়”, বলেন তিনি।
Published : 15 May 2024, 09:47 PM
চট্টগ্রাম মহানগরের উন্নয়নে বন্দর ও কাস্টমস থেকে ‘নগর উন্নয়ন মাশুল’ আদায়ের কথা ভাবছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। বলেছেন, কেবল হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে নগরের সব কাজ করা সম্ভব নয়।
বুধবার নগরীর টাইগারপাসে করপোরেশন কার্যালয়ে আগামী অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সিটি করপোরেশনের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, “শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সিসিসির যে ব্যাপক কার্যক্রম তা কেবল হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অল্প কিছু খাতের আয় দিয়ে করা সম্ভব নয়। এ জন্য বন্দরসহ বিভিন্ন খাত থেকে আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
“চট্টগ্রামের উন্নয়নে বন্দর ও কাস্টম থেকে ‘সিটি ডেভেলপমেন্ট চার্জ’ আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করছি।”
নগরীর উন্নয়নে যথেষ্ট কাজ করতে না পারার আক্ষেপের কথাও বলেন মেয়র রেজাউল। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। কিন্তু আমরা সম্মিলিতভাবে চট্টগ্রামকে সাজাতে পারিনি।”
নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য শিশুপার্ক ও খেলার মাঠ করে দেওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি। সেই সঙ্গে সিটি করপোরেশনকে দায়-দেনামুক্ত করে প্রকৃত সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানান মেয়র।
রেজাউল বলেন, “আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দায়-দেনা নিয়ে খুবই জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হই। তবে কৃচ্ছ্র সাধন, অপচয় হ্রাসসহ বিভিন্ন কৌশল নিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা দেনার প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা শোধ করেছি।
“বাকি দেনা শোধ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে প্রকৃত জনসেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বিভিন্ন আর্থিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাজেট নিয়ে মতামত দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক নাজনীন সুলতানা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান সালেহ জহুর, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি উমর হাজ্জাজ, নগর পরিকল্পনাবিদ দেলোয়ার হোসেন মজুমদার ও মোহাম্মদ এরাদত উল্লাহ।
সিটি করপোরেশনের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইমাম হোসেন রানাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।