উপমহাদেশের বাইরে সফর হলে তাকে স্কোয়াডে রাখতেও ভাবতে হয় অনেক। কিন্তু খেলা যখন দেশের মাটিতে, একাদশেও তাইজুল ইসলামের নামটি নিশ্চিত। কেন অপরিহার্য, সেটির প্রমাণ পারফরম্যান্সেই দিয়ে যাচ্ছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দেশের মাটিতে টানা তিন ইনিংসে চার উইকেট নেওয়ার পর এবার তাইজুলের শিকার ৬ উইকেট।
Published : 04 Nov 2018, 02:25 PM
সিলেটের অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার তাইজুল। ১০৮ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় দিন সকালে তার সৌজন্যেই ২১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গেছে তিনশর নীচে।
দেশের মাটিতে বাংলাদেশের সবশেষ দুই টেস্টেও তাইজুল ছিলেন দলের সফলতম বোলার। বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের একমাত্র ইনিংসে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। পরের টেস্টে মিরপুরে দুই ইনিংসেই উইকেট চারটি করে।
চার ও পাঁচ উইকেটের ব্যবধান স্রেফ একটি হলেও আক্ষেপ অনেক সময়ই বেশ বড়। ৫ উইকেট মানেই তো ক্যারিয়ার রেকর্ডে আলাদা প্রাপ্তিযোগ। পরিসংখ্যানে উজ্জ্বল পালক যোগ হওয়া। টানা তিনবার কাছে গিয়েও সেটা হয়নি। এবার পুড়তে হয়নি সেই আক্ষেপে।
এই ইনিংসটায় অবশ্য নিজের সেরা চেহারায় ছিলেন না তাইজুল। টেস্ট ছাড়া অন্য কোনো সংস্করণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সুযোগ হয় না। নিজেকে শাণিত করার কাজটা তার জন্য কঠিন। এই টেস্টে যেমন আলগা বল করেছেন অনেক। সুযোগ দিয়েছেন রান করার। তবে উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য তো সবসময়ই ছিল। কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া, কিছুটা ভালো বোলিং মিলিয়ে পেয়ে গেছেন সাফল্য।
জিম্বাবুয়েকে সামনে পেলে তার জ্বলে ওঠা নতুন নয়। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি তারই। ২০১৪ সালে সেই রেকর্ড গড়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ৮ উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র ৩৯ রানে। সেই সিরিজে ৩ টেস্টে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। এবার প্রথম ইনিংসেই ইঙ্গিত দিলেন দারুণ কিছুর।
৬ উইকেটের পাশাপাশি আরেকটি কীর্তির সম্ভাবনাও জাগিয়ে রেখেছেন ম্যাচে। প্রথম ইনিংসের শেষ দুটি উইকেট নিয়েছেন টানা দুই বলে। পরের ইনিংসে প্রথম বলে উইকেট নিলেই হ্যাটট্রিক।