সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ছেড়েছেন খুব কম বল। সব বল খেলতে গিয়ে তারা সুযোগ দিয়েছেন অনেক বেশি। সেগুলো কাজে লাগিয়ে মাহমুদউল্লাহর দলকে জিম্বাবুয়ে থামিয়ে দেয় ১৪৩ রানে।
রোববারের খেলা শেষে জিম্বাবুয়ে এগিয়ে আছে ১৪০ রানে। চাটারা মনে করেন, স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতার পেছনে সবচেয়ে বড় দায় ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ের।
“ওয়ানডে সিরিজ ওদের ব্যাটসম্যানদের ভালো কেটেছে। তাই আমরা জানতাম, ওরা এখানে ওয়ানডের মেজাজ নিয়ে খেলতে আসবে। যা টেস্টে আমাদের অনেক বেশি সুযোগ এনে দেবে।”
“আমি মনে করি, ওরা ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে টেস্টের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। টেস্টে অনেক বেশি বল ছাড়তে হয়, অন্য দিকে ওয়ানডেতে প্রতিটি বলে আপনাকে রানের চেষ্টা করতে হবে।”
বাংলাদেশ ১৯ রানেই হারায় প্রথম চার উইকেট। এর তিনটি নেন চাটারা। ডানহাতি এই পেসার জানান, তিনি বোলিং খুব সাধারণ রেখে এই সাফল্য পান।
“আমি কেবল ভালো জায়গায় বোলিং করে যেতে চেয়েছি। ব্যাটসম্যানকে যত বেশি সম্ভব খেলানোর চেষ্টা করে গেছি।”
“বাংলাদেশের যে ব্যাটিং লাইন আপ ভেবেছিলাম ওরা আরও ভালো ব্যাটিং করবে। তবে আমরা বোলাররা খুব ভালো করে ওদের কম রানেই থামাতে পেরেছি।”
জিম্বাবুয়ের বোলিং কোচ ডগলাস হোন্ডো জানান, পুরো তৃতীয় দিন ব্যাটিং করতে চান তারা। বাংলাদেশকে দিতে চান যতটা সম্ভব বড় লক্ষ্য।
“উইকেট নিতে এখানে ভালো জায়গায় বল করে যেতে হবে। বাকিটা পিচ করে দেবে। আমাদের বোলাররা আজ সেই কাজটাই করেছে। টেস্ট ক্রিকেট পাঁচ দিনের খেলা, আপনাকে সেই অনুযায়ী খেলতে হবে। আমরা আগামীকাল লিড যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো।”