ধনঞ্জয় ডি সিলভার পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন কুসল মেন্ডিস। দুই জনকেই ডাবল সেঞ্চুরির আগে থামিয়েছে বাংলাদেশ। তবে দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রোশেন সিলভা ও দিনেশ চান্দিমালের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে লিডের পথে শ্রীলঙ্কা।
Published : 02 Feb 2018, 08:33 AM
সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে জুটির স্মৃতি ফেরালেন ধনঞ্জয়া-মেন্ডিস
বাংলাদেশের হতাশায় মোড়ানো আরেকটি দিন
বাংলাদেশের বোলিংয়ে অসন্তুষ্ট খালেদ মাহমুদ
‘ম্যাচ বাঁচানোর কথা ভাবার সময় আসেনি’
লিড নেওয়ার পথে শ্রীলঙ্কা
নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ যে রান করেছে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে সেই রান প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫০৪ রান। অতিথিরা মাত্র ৯ রানে পিছিয়ে। রোশেন সিলভা ও দিনেশ চান্দিমাল অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে গড়েছেন ৮৯ রানের জুটি।
তৃতীয় দিন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুসল মেন্ডিসকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কা যোগ করে ৩১৭ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে ধনঞ্জয়া সঙ্গে ৩০৮ রানের জুটি উপহার দেন মেন্ডিস। রোশেনের সঙ্গে পরের জুটিতে যোগ করেন আরও ১০৭ রান।
আগের দিন সেঞ্চুরি পাওয়া সিলভাকে ফিরিয়ে দিনের প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। পরে ফিরিয়ে দেয় ডাবল সেঞ্চুরির পথে থাকা মেন্ডিসকে।
তৃতীয় দিন শেষে স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: (দ্বিতীয় দিন শেষে ১৮৭/১) ১৩৮ ওভারে ৫০৪/৩ (করুনারত্নে ০, মেন্ডিস ১৯৬, ধনঞ্জয়া ১৭৩, রোশেন ৮৭*, চান্দিমাল ৩৭*; মুস্তাফিজ ২৫-৫-৮৮-১, সানজামুল ৩৭-২-১২৮-০, মিরাজ ১৯-০-৯৭-১, তাইজুল ৫১-১৩-১৪৪-১, মোসাদ্দেক ৩-০-২৪-০, মুমিনুল ২-০-৬-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৭-০)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫১৩
শ্রীলঙ্কার পাঁচশ
আরও একবার বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচশ ছোঁয়া সংগ্রহ পেল শ্রীলঙ্কা। দলকে লিড এনে দেওয়ার পথে আছেন রোশেন সিলভা ও দিনেশ চান্দিমাল।
১৩৬তম ওভারে পাঁচশ ছুঁয়েছে অতিথিদের সংগ্রহ। টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে অষ্টমবার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড শ্রীলঙ্কার অধিকারে। ২০১৪ সালের সফরে ঢাকা টেস্টে ৬ উইকেটে দলটি করেছিল ৭৩০ রান।
১৩৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫০০/৩। সিলভা ৮৪ ও দিনেশ চান্দিমাল ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।
রোশেন সিলভার ফিফটি
টানা দ্বিতীয় ফিফটি পেলেন রোশেন সিলভা। অভিষেক ইনিংসে শূন্য আউট হওয়া মিডল অর্ডার ভারতের বিপক্ষে পরের ইনিংসে করেছিলেন অপরাজিত ৭৪ রান। চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ফিরতে পারতেন ১ রানে। জীবন পেয়ে পিছনে তাকাতে হয়নি। ৮৯ বলে তিনটি চারে তুলে নিয়েছেন ফিফটি।
কুসল মেন্ডিস ফেরার পর কমেছে রানের গতি। শুরুতে সময় নিচ্ছেন অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল।
১১২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৩০ রান। সিলভা ৫০ ও চান্দিমাল ২ রানে ব্যাট করছেন।
দ্বিতীয় সেশনে খানিক স্বস্তি
উইকেটশূন্য প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ ফিরিয়ে দিয়েছে দুই থিতু ব্যাটসম্যান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুসল মেন্ডিসকে।
চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় শ্রীলঙ্কার স্কোর ৪১৬/৩। অতিথিরা এখনও ৯৭ রানে পিছিয়ে। ১ রানে বেঁচে যাওয়া রোশেন সিলভা খেলছেন ৩৮ রানে। তার সঙ্গী দিনেশ চান্দিমাল রানের খাতা খুলেননি এখনও।
দ্বিতীয় নতুন বলে ডি সিলভাকে বিদায় করেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাইজুল ইসলাম দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে ফেরান ডাবল সেঞ্চুরির পথে থাকা মেন্ডিসকে।
প্রথম সেশনে ৩০ ওভারে ১০৮ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় সেশনে ২৮ ওভারে ১২১।
দুইশর আগে মেন্ডিসকে থামালেন তাইজুল
দুই ওভারের স্পেলে খরুচে বোলিং করা মোসাদ্দেক হোসেনের জায়গায় তাইজুল ইসলামকে আক্রমণে আনেন মাহমুদউল্লাহ। তাইজুল এবার হতাশ করেননি অধিনায়ককে, ফেরান মেন্ডিসকে। ভাঙে ওভার প্রতি প্রায় ৫ করে রান তোলা ১০৭ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
তাইজুলকে ফ্লিকে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন মেন্ডিস। স্পিনের বিপক্ষে খেলা শট উঠে যায় আকাশে। মিড অন থেকে বেশ কিছুটা দৌড়ে গিয়ে দারুণ ক্যাচ মুঠোয় নেন মুশফিকুর রহিম।
৩২৭ বলে ২২টি চার ও দুটি ছক্কায় ১৯৬ রান করে ফিরেন মেন্ডিস। ১০৫ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৪১৫/৩। ক্রিজে রোশেন সিলভার সঙ্গী অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল।
শ্রীলঙ্কার চারশ
১০২ ওভারে চারশ রানে গেছে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ। বাংলাদেশের বোলাররা না পাচ্ছেন উইকেট, না থামিয়ে রাখতে পারছেন রানের গতি। কুসল মেন্ডিস ও রোশেন সিলভার ব্যাটে ছুটছে অতিথিরা।
১০২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৪০২/২। মেন্ডিস ১৮৪ ও সিলভা ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।
মেন্ডিস- রোশেন সিলভা জুটির পঞ্চাশ
থিতু ব্যাটসম্যান মেন্ডিসের সঙ্গে সমান তালে এগোচ্ছেন সিলভা। তৃতীয় উইকেটে তাদের জুটির পঞ্চাশ এসেছে ৮১ বলে।
৯৮ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৩৬৪/২। মেন্ডিস ১৫৮ ও সিলভা ২৪ রানে ব্যাট করছেন।
মেন্ডিসের দেড়শ
এই নিয়ে চার টেস্ট সেঞ্চুরির তিনটিতেই দেড়শ ছুঁলেন মেন্ডিস। এর আগে খেলেছেন ১৯৪ ও ১৭৬ রানের ইনিংস। এই ইনিংসে এখনও অপরাজিত। ছুটছেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকে।
শুরুতেই রক্ষা পেলেন রোশেন সিলভা
তিনশ রানের জুটি ভাঙার পর দ্রুত আরেকটি উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু আবারও সুযোগ হাতছাড়া। এবার হতাশ করলেন লিটন দাস।
মেহেদী হাসান মিরাজের লেগ স্টাম্পে পিচ করে বেরিয়ে যাওয়া বলে গ্ল্যান্স করতে চেয়েছিলেন নতুন ব্যাটসম্যান রোশেন সিলভা। শট খেলতে গিয়ে বেরিয়ে আসেন, হয়নি ব্যাটে বলে। লিটন বাঁ দিকে সরেছিলেন সময়মতোই, কিন্তু হাতে জমাতে পারলেন না বল। স্টাম্পিংয়ের সুযোগ গেল ফসকে।
১ রানে বেঁচে গেলেন সিলভা। শ্রীলঙ্কার রান তখন ২ উইকেটে ৩১১।
ধনঞ্জয়াকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মুস্তাফিজ
মুস্তাফিজের বেরিয়ে যাওয়া বল পুল করে টাইমিং করতে পারেননি ডি সিলভা। ব্যাটের কানায় লেগে ওপরে উঠে যাওয়া ক্যাচ গ্লাভসে নেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। ভাঙে ৮০.২ ওভার স্থায়ী ৩০৮ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগানো ডি সিলভা ফিরেন ক্যারিয়ার সেরা ১৭৩ রান করে। তার ২২৯ বলের ইনিংসটি গড়া ২১টি চার ও একটি ছক্কায়।
৮২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৩০৮/২। দলটি এখনও পিছিয়ে ২০৫ রানে। মেন্ডিসের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন রোশেন সিলভা।
বাংলাদেশের হতাশার সেশন
আগের দিন জমে যাওয়া দ্বিতীয় উইকেট জুটি তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কুসল মেন্ডিসের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০৮ রান যোগ করেছে শ্রীলঙ্কা।
তৃতীয় দিনের লাঞ্চে যাওয়ার সময় অতিথিদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৯৫ রান।
শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল অতিথিরা। এরপর থেকে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ পর্যন্ত ৭৬.৩ ওভারে ২৯৫ রান যোগ করেছেন মেন্ডিস-ডি সিলভা।
আগের দিন সেঞ্চুরি পাওয়া ডি সিলভা খেলছেন ১৭০ রানে। স্পর্শ করেছেন শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে কম ইনিংসে এক হাজার রানের রেকর্ড। দুইবার জীবন পাওয়া মেন্ডিস ব্যাট করছেন ১২৫ রানে।
ঠিক লাইন লেংথ এখন পর্যন্ত যেন খুঁজে পাননি বাংলাদেশের বোলাররা। রানের গতিতে বাঁধ দিতে পারেননি তাদের কেউ। এক জায়গায় টানা বল করে ব্যাটসম্যানের চাপে রাখার চেষ্টা দেখা যায়নি তাদের কারোর মাঝে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে রেকর্ড জুটি
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন কুসল মেন্ডিস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। পেছনে ফেলেছেন গ্রায়েম স্মিথ ও গ্যারি কার্স্টেনকে।
২০০২ সালের অক্টোবরে ইস্ট লন্ডনে দ্বিতীয় উইকেটে ২৭২ রানের জুটি গড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্মিথ-কার্স্টেন। চট্টগ্রাম টেস্টে দারুণ ব্যাটিংয়ে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ পর্যন্ত দুই জনে গড়েছেন ২৯৫ রানের জুটি।
টেস্টে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ার হাতছানি তাদের সামনে। ২০০৭ সালে ক্যান্ডিতে তৃতীয় উইকেটে কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনের জুটি ছিল ৩১১ রানের।
বোলিংয়ে মুমিনুল, মাহমুদউল্লাহ
ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুসল মেন্ডিসের ব্যাটে সাবলীলভাবে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা। জুটি ভাঙতে না পেরে বোলিং নিয়ে যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাহমুদউল্লাহ। চার ওভারে ব্যবহার করেছেন চার বোলার।
দুই দিন মিলিয়ে ২০ ওভারের স্পেল করা তাইজুল ইসলামকে সরিয়ে ৭৪তম ওভারে অনিয়মিত বাঁহাতি স্পিনার মুমিনুল হককে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক। বিবর্ণ সানজামুল ইসলামকে সরিয়ে পরের ওভারে অন্য প্রান্তে নিজেই আসেন তিনি।
মুমিনুলকে সরিয়ে ৭৬তম ওভারে তৃতীয় দিন সকালে প্রথমবারের মতো মেহেদী হাসান মিরাজকে আক্রমণে আনেন মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারে নিজের জায়গায় ফেরান তাইজুলকে।
বোলিং পরিবর্তনের মতো বোলিংয়েও এলোমেলো বাংলাদেশ। তার ঠিক উল্টো শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং। মেন্ডিস ও ডি সিলভার গোছানো দুই ইনিংসে অতিথিরা দাঁড়িয়েছে দৃঢ় ভিতের ওপর।
রেকর্ড ছুঁলেন ধনঞ্জয়া
ক্যারিয়ারের প্রথম দেড়শ রানের ইনিংস খেলা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বসেছেন রয় ডায়াস ও মাইকেল ভ্যানডর্টের পাশে। স্পর্শ করেছেন শ্রীলঙ্কার হয়ে সবচেয়ে কম ইনিংসে টেস্টে এক হাজার রানের রেকর্ড।
৮৪৬ রান নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট শুরু করেন ডি সিলভা। টেস্টের দ্বিতীয় দিন পৌঁছান সেঞ্চুরিতে। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে স্পর্শ করেন মাইলফলক।
এক হাজারে পৌঁছতে ২৩ ইনিংস লাগল ডি সিলভার।
সবচেয়ে কম ১২ ইনিংসে হাজার ছুঁয়ে বিশ্ব রেকর্ড যৌথভাবে ইংল্যান্ডের হার্বার্ট সাটক্লিফ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভারটন উইকসের।
৭৩ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ২৬৯/১। কুসল মেন্ডিস ১১২ ও ডি সিলভা ১৫৭ রানে ব্যাট করছেন
জন্মদিনে মেন্ডিসের সেঞ্চুরি, নিজের সেরা ছাড়িয়ে ধনঞ্জয়া
সানজামুল ইসলামকে চার হাঁকিয়ে নিজের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান মেন্ডিস। সেঞ্চুরি পেতে খেলেন ২০০ বল। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ১০টি চার ও একটি ছক্কা।
আঁটসাঁট টেকনিকের জন্য পরিচিত মেন্ডিস স্পিনের বিপক্ষে খেলছেন দারুণ। স্পিনারদের ফাঁদে পা দেননি একবারের জন্যও। খেলছেন সিঙ্গেল নিয়ে। নিজের জোনে পেলে পাঠাচ্ছেন বাউন্ডারির বাইরে।
মেন্ডিসকে নির্ভার খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন নিজের সেরা ১২৯ ছাড়িয়ে যাওয়া ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের একের পর এক বাউন্ডারিতে দিশেহারা স্বাগতিকদের বোলিং। অতিথিদের রান রেট যে চার ছুঁই ছুঁই তার কৃতিত্ব এই ডি সিলভার।
৬২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ২৩৯/১। মেন্ডিস ১০১ ও ডি সিলভা ১৩৮ রানে ব্যাট করছেন।
শ্রীলঙ্কার দুইশ, জুটিরও
প্রথম সেশনে তিন-চার উইকেট চায় বাংলাদেশ
স্কোরকার্ড বলবে এখনও ফলো অন এড়ায়নি শ্রীলঙ্কা। বাস্তবতায় সেটিকে মনে হচ্ছে কেবলই সময়ের ব্যাপার। শ্রীলঙ্কা যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে বড় স্কোরের পথে তারাও। মুমিনুল হকের অবশ্য বিশ্বাস, তৃতীয় দিন সকালে দ্রুত কিছু উইকেট নিলেই ঘুরে যাবে মোড়।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৫১৩ রান তাড়ায় শূন্য রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে এরপরই দারুণ জুটি গড়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুসল মেন্ডিস। দিন শেষে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ১৮৭। ডি সিলভা ব্যাট করছেন ১০৪ রানে, ৮৩ রানে মেন্ডিস।
শ্রীলঙ্কা পিছিয়ে এখনও ৩২৬ রানে। তবে ৯ উইকেট হাতে এবং ক্রিজে থিতু দুজন ব্যাটসম্যানকে নিয়ে সেই ব্যবধান ঘোচানো খুব দুরূহ মনে হচ্ছে না। বাংলাদেশ দলও সেটা জানে। তাই তৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশের ভাবনায় প্রথম সেশনে তিন-চার উইকেট তুলে নেওয়া।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়।
হেরাথের কাছে সমতায় দুই দল
প্রথম দিন শেষে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় দিনে সেই ব্যবধান অনেকটাই ঘুচিয়ে দিতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। অভিজ্ঞ লঙ্কান স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ দুই দলকে রাখছেন পাশাপাশিই।
৪ উইকেটে ৩৭৪ রান নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সকালেই শ্রীলঙ্কা তুলে নেয় ৩ উইকেট। পরে মাহমুদউল্লাহর দৃঢ়তায় বাংলাদেশ করতে পারে ৫১৩ রান।
শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ে নেমে শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারালেও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুসল মেন্ডিসের অসাধারণ জুটিতে দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ১৮৭ রানেই। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ডি সিলভা, সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মেন্ডিস।
‘উইকেটে স্পিন ধরেছে’
দ্বিতীয় দিন শেষ বেলায় বাংলাদেশের স্পিনাররা খুব একটা ভোগাতে পারেননি ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুসল মেন্ডিসকে। মুমিনুল হকের বিশ্বাস, তৃতীয় দিন চিত্রটা পাল্টাবে। কারণ, স্পিন ধরেছে চট্টগ্রামের উইকেটে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম দিন দুই ফিঙ্গার স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ ও দিলরুয়ান পেরেরা খুব একটা টার্ন পাননি। দ্বিতীয় দিন শুরু থেকে একটু বেশি টার্ন পান তারা। উইকেটে এদিন বল একটু গ্রিপ করে, বাউন্সও ছিল অসমান। মুমিনুল মনে করেন, তৃতীয় দিন থেকে দাপট দেখাতে পারেন স্পিনাররা।
দ্বিতীয় দিন শেষে স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৪৮ ওভারে ১৮৭/১ (করুনারত্নে ০, মেন্ডিস ৮৩*, ধনঞ্জয়া ১০৪*; মুস্তাফিজ ৭-১-৩১-০, সানজামুল ১৫-১-৫২-০, মিরাজ ৮-০-৪৫-১, তাইজুল ১৭-৩-৫৬-০, মোসাদ্দেক ১-০-৩-০)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫১৩