চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দলীয় শূন্য রানে দিমুথ করুনারত্নে আউট হওয়ার পর জুটি বেঁধেছিলেন দুজন। দ্বিতীয় দিন শেষে অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ছিল ১৮৭। তৃতীয় দিনে শুক্রবার প্রথম সেশনেও অপরাজেয় দুজন। প্রথম সেশন শেষে জুটির রান ২৯৫। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ওভারে জুটি স্পর্শ করে তিনশ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ জুটি ৩১১ রানের। ২০০৭ সালের জুলাইয়ে ক্যান্ডিতে তৃতীয় উইকেটে সেই জুটি গড়েছিলেন সাঙ্গাকারা ও জয়াবর্ধনে। অপরাজিত ২২২ করেছিলেন সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনে ১৬৫।
এবার সেই জুটিকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার খুব কাছে গিয়েছিল ডি সিলভা-মেন্ডিস জুটি। কিন্তু থমকে যেতে হয়েছে ৩ রান দূরে। ১৭৩ রান করা ডি সিলভাক ফিরিয়ে ৩০৮ রানের জুটি ভেঙেছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনশ রানের জুটি আছে আরও ৫টি। প্রথমটির সাক্ষীও চট্টগ্রাম শহর। তবে এই মাঠ নয়, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। ২০০৩ সালে ৪২৯ রানের অপরাজেয় জুটি গড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোটা ডিপেনার ও জ্যাক রুডলফ। অভিষেকে অপরাজিত ২২২ করেছিলেন রুডলফ। এখনও বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ড সেটি।
২০০৮ সালে আবার যখন বাংলাদেশ সফরে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা, এম এ আজিজ থেকে চট্টগ্রামে ভেন্যু ততদিনে সরে এসেছে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। তবে নতুন মাঠেও ফিরে আসে সেই দুঃসহ স্মৃতি। এবার উদ্বোধনী জুটিতেই ৪১৫ রানের জুটি গড়েন গ্রায়েম স্মিথ ও নিল ম্যাকেঞ্জি। উদ্বোধনী জুটির বিশ্বরেকর্ড হয়ে সেটি টিকে আছে এখনও।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই দুই জুটির কীর্তির মাঝে আরও দুবার তিনশ রানের জুটি হয়ে যায় বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০৬ সালে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই ৩২০ রানের জুটি গড়েছিলেন মাইক হাসি ও জেসন গিলেস্পি।
নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করার অনন্য কীর্তি গড়েছিলেন গিলেস্পি। যেটিই পরে হয়ে থাকে তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। ব্যাটিংয়ে অভাবনীয় ইনিংস উপহার দিলেও মূল কাজ বোলিংয়ে ধার হারানোয় আর জায়গা পাননি টেস্ট দলে।
এরপর ২০০৭ সালে ক্যান্ডিতে জয়াবর্ধনে ও সাঙ্গাকারার সেই জুটি। ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে ৩৩৯ রানের জুটি গড়েছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও মার্টিন গাপটিল। সেই জুটি বাংলাদেশকে একটু বেশিই চোট দিয়েছিল। ১৫৮ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ওই জুটি গড়েন ম্যাককালাম ও গাপটিল। পাঁচে নেমে ১৮৯ করেছিলেন গাপটিল, তার বিবর্ণ টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ স্কোর। ম্যাককালাম করেছিলেন ১৮৫।
এবারের আগে শেষ তিনশ রানের জুটি গড়েছিলেন ড্যারেন ব্রাভো ও মারলন স্যামুয়েলস। তৃতীয় উইকেটে খুলনায় দুই ক্যারিবিয়ান তুলেছিলেন ৩২৬ রান। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ২৬০ করেছিলেন স্যামুয়েলস।
এবার ধনঞ্জয়া ও মেন্ডিসের জুটি থামল ৩০৮ রানে। হতাশার মাঝেও একটি সান্ত্বনা হতে পারে, বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনশ রানের জুটিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট জুটি এটিই!