ম্যাচের আগের দিন উইকেট থেকে লঙ্কান অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল বলেছিলেন স্রেফ একটি কথাই, “নিশ্চিতভাবেই টার্নিং উইকেট হতে যাচ্ছে।” বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ উইকেটের চরিত্র অনুমান করতে বলেছিলেন স্কোয়াডের দিকে তাকাতে, “দলে ৬ জন স্পিনার দেখেই বুঝতে পারছেন কেমন উইকেট হতে যাচ্ছে।”
ইঙ্গিত তাই পুরোটাই ছিল স্পিন-বান্ধব উইকেটের। অথচ সেখানে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছে ৫১৩। শ্রীলঙ্কা ৫০৪ করে ফেলেছে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই। স্পিনারদের জন্য সহায়তা ছিল সামান্যই।
ত্রিদেশীয় সিরিজে দল চাওয়া মত উইকেট পায়নি বলে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে অনেক। এবার কি দল এমন উইকেটই চেয়েছিল? তৃতীয় দিন শেষে দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ শোনালেন উইকেট নিয়ে দলের ভাবনা।
“উইকেট নিয়ে আসলে আমি অজুহাত দিতে রাজি নই। অভিযোগও করতে চাই না। হয়তোবা একটু বেশি ব্যাটিংবান্ধব উইকেট এটি। আমরা হয়তো চেয়েছিলাম উইকেট যদি একটু মন্থর থাকত বা স্পিন করলে আমাদের জন্য ভালো হতো।”
“তবে আমরাও এই উইকেটে ব্যাট করেছি, যেটা বড় ব্যাপার। ৫০০ রান করেছি, একদিনে ৩৭৪ করেছি। উইকেট নিয়ে অভিযোগ নেই। পরের দুই দিন ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে ম্যাচে টিকে থাকার জন্য।”
শেষ দুই দিনে কি উইকেটে টার্ন আশা করছেন? খালেদ মাহমুদ ছোট্ট করে জানালেন, সম্ভাবনা সামান্যই, “নট রিয়েলি।”