বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চলমান হামলা বন্ধ ও নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
Published : 18 Oct 2021, 08:50 PM
সোমবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বলেন, “বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর সাম্প্রতিক হামলাগুলো সামাজিক মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য থেকে উদ্ভূত, যা সংবিধানের মূল্যবোধের পরিপন্থী এবং বন্ধ করা প্রয়োজন।
”আমরা সরকারের প্রতি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।”
গত ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজার অষ্টমীতে কুমিল্লার একটি মন্দিরে কথিত ‘কোরআন অবমাননার’ অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর চালানো হয়।
সর্বশেষ রোববার রাতে রংপুরের পীরগঞ্জে ফেইসবুকে এক তরুণের ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে সেখানে জেলেপল্লীরে ২৯টি বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
রংপুরের ঘটনায় সম্পৃক্তদের ‘তাৎক্ষণিকভাবে চিহ্নিত’ করা হয়েছে দাবি করে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪৫ জনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে।
সাম্প্রদায়িক হামলার মধ্যে এক টুইটে মিয়া সেপ্পো আরও বলেন, “অন্তর্ভূক্তিমূলক ও সহনশীল বাংলাদেশকে শক্তিশালী করতে হাতে হাত রেখে এক হওয়ার জন্য আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
হিন্দুদের নিরাপত্তা দিন: অ্যামনেস্টি
সাম্প্রদায়িক হামলার প্রেক্ষাপটে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তা দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সোমবার এক বিবৃতিতে মানবাধিকার সংগঠনটির দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা সাদ হাম্মাদি বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবের মধ্যে তাদের উপর হামলার ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে দেখে আসছেন তারা।
“গত কয়েক বছরে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি প্রমাণ করে যে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত, কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাদ হাম্মাদি বলেন, “কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই দ্রুত, পরিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চালিয়ে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
আরও পড়ুন