ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন জানান, থানার দুই এসআই বাদী হয়ে রোববার মামলা দুটি করেছেন।
একটি মামলায় ২০০ থেকে ২৫০ জন এবং অপর মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক মনির।
পরিদর্শক মনির বলেন, দুই মামলায় প্রায় ৪০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, এই ঘটনায় র্যাব আহনাফ তৌসিফ মাহমুদ লাবিব (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে।
আহনাফ তৌসিফ ফেনী পৌরসভার মধ্যম রামপুর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাইফুদ্দিন মাহমুদের ছেলে।
রোববার দুপুরে র্যাব র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম ইউছুফ গণমাধ্যমকে বলেন, “আটক লাবিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে ঘটনার সাথে জড়িত বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। তার সাথে আরও যারা জড়িত তাদের নামও জানিয়েছে র্যাবকে।”
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে এই র্যাব কর্মকর্তা জানান।
শনিবার ফেনীতে পূজা উদযাপন পরিষদের কর্মসূচিতে হামলার পর জেলা শহরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এরপর কয়েকটি মন্দির এবং হিন্দুদের মালিকানাধীন বেশ কিছু দোকানপাটে ভাংচুর, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা।
বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে এই সংঘর্ষে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিনসহ ৪০ জন আহত হন।