মুভি বা সিনেমা, নাটক ও গল্পের বইয়ে পড়ে বা দেখে আসছি টাওয়ার ব্রিজকে। দেখতে দেখতে আরও অনেকগুলো স্বপ্নের সাথে তৈরি হয়েছিলো টাওয়ার ব্রিজে বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় অবকাশ যাপনের। তাই যখন লন্ডন এলাম তখন থেকেই এখানে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে কিছু ধারণা নিয়েছিলাম টাওয়ার ব্রিজটি সম্পর্কে।
আমার আরো বেশি ভালো লেগেছে ব্রিজের রংয়ের খেলা। লাল, সাদা ও নীল এই তিনটি রংয়ের সম্বন্বয়ে টাওয়ার ব্রিজটি। তবে টিউব, বাস ও ট্যাক্সি যেকোন যানবাহনে করে আপনি খুব সহজে এই স্থানটিতে আসতে পারবেন।
টাওয়ার ব্রিজের সবচেয়ে বড় আকর্ষণের একটি হচ্ছে নিচ দিয়ে জাহাজ চলার সময় এটি ভাগ হয়ে যায় বা আলাদা হয়ে উপরে উঠে যায়।
টাওয়ার ব্রিজের বয়স ১২০ বছরের বেশি, ১৮৯৪ সালে তৈরি। টেমস নদীর ওপরের এ ব্রিজটি ২৪৪ মিটার লম্বা। প্রস্থে এটি ৩২ মিটার। প্রতি টাওয়ারের উচ্চতা ২১৩ মিটার। সমান দুটি পাটাতনে বিভক্ত এই টাওয়ার ব্রিজের মাঝখানের দূরত্ব ২০০ ফিট। প্রতিদিন গাড়ি ও সাইকেলে করে ৩০-৪০ হাজার লোকজন পারাপার হয় ব্রিজ দিয়ে।
প্রিন্স অফ ওয়েলস্ পরবর্তিতে সপ্তম এডওয়ার্ড এবং তার স্ত্রী প্রিন্সেস অব ওয়েলেস বা আলেকজান্দ্রা অব ডেনমার্ক ১৮৯৪ সালের ৩০শে জুন এটি অফিসিয়ালি উদ্বোধন করেন।
এমনকি অনলাইন থেকেও আপনি টিকেট বুকিং দিতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে রিভার ক্রুজের ব্যবস্থা যাতে করে আপনি টেমস্ নদী ও একসাথে দুটো ব্রিজের সৌন্দর্য দেখতে পারেন। লন্ডনের অন্যতম আইকন টাওয়ার ব্রিজ দেখলে আপনিও আমার সাথে সহমত হবেন যে- এটি একটি জাদুর ব্রিজ।
লেখক: প্রবাসী শিক্ষার্থী ও সাবেক গণমাধ্যমকর্মী
ই-মেইল: topu1212@yahoo.com
লেখকের আরও পড়ুন
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |