ইসরায়েলের ছদ্মবেশী ওই অভিযানে নিহতদের মধ্যে এক ফিলিস্তিনি ছিলেন, যিনি ইসরায়েলি বিমান হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
Published : 10 Feb 2024, 12:16 PM
ইসরায়েলি কমান্ডোরা চিকিৎসা কর্মী ও মুসলিম নারীর ছদ্মবেশ ধরে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের হাসপাতালে তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে যে কাণ্ড ঘটিয়েছে তা যুদ্ধাপরাধ হতে পারে, বলেছেন জাতিসংঘের একদল বিশেষজ্ঞ।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, ২৯ জানুয়ারি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী, অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত ও ইসরায়েলি সীমান্ত পুলিশ পশ্চিম তীরের জেনিনে ইবনে সিনা হাসপাতালে এক যৌথ ছদ্মবেশি অভিযান চালিয়ে তিন ফিলিস্তিনি ‘জঙ্গিকে’ হত্যা করেছে।
পশ্চিম তীরের অস্থিরতা কবলিত ফিলিস্তিনি শহরগুলোর মধ্যে জেনিন অন্যতম। শহরটির ইবনে সিনা হাসপাতালে ইসরায়েলের ওই গোপন অভিযানে নিহতদের মধ্যে বাসেল আল-গাজ্জাভী নামের এক ফিলিস্তিনি ছিলেন, তিনি এর আগে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় আহত হয়ে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন আহত এক রোগীকে হত্যা করা যুদ্ধাপরাধ। আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিহীন, সুরক্ষিত চিকিৎসা কর্মী ও বেসামরিকদের ছদ্মবেশ ধরে ইসরায়েলি বাহিনী দৃষ্টত বিশ্বাসভঙ্গ করেছে, যা যেকোনো পরিস্থিতিতে নিষিদ্ধ; এখানেও যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে।”
তারা ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষের প্রতি এ বিষয়ে একটি তদন্ত পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন। এই বিশেষজ্ঞরা জাতিসংঘের একটি নির্দিষ্ট মানবাধিকার ইস্যু পরীক্ষা করার জন্য নিযুক্ত বিশেষ প্রতিবেদক।
তাদের দেওয়া বিবৃতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইবনে সিনা হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, প্রায় ১০ জনের একটি দল বিভিন্ন বেসামরিক পোশাকে ও চিকিৎসকদের পোশাক পরে একটি করিডোর ধরে যাচ্ছে, তারা অ্যাসল্ট রাইফেলে সজ্জিত; তাদের মধ্যে অন্তত তিনজন নারীদের পোশাক পরা যাদের মাথায় স্কার্ফও ছিল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ওই হাসপাতালে যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের মধ্যে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের এক যোদ্ধাও ছিলেন, অন্য দুইজন জেনিন বিগ্রেড ও ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখার পক্ষে কাজ করতো।