এই চার দেশের মধ্যকার ঝুঁকিপূর্ণ ও গভীর সম্পর্ক সামাল দিতে নতুন কৌশল নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে চাপ দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
Published : 12 Dec 2024, 06:38 PM
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের আগেই রাশিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া ও চীনের মধ্যকার ঝুঁকিপূর্ণ ও গভীর সম্পর্ক সামাল দিতে নতুন কৌশল নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে চাপ দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার যুদ্ধে ইরানের সহায়তার বিনিময়ে তেহরানকে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশ প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে মস্কো। বাইডেন মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক এক স্মারকলিপিতে একথা উল্লেখ করেছেন।
ওদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়াকে জ্বালানি, অর্থ এবং প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে। পাশাপাশি দেশটিকে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। মার্কিন প্রশাসন বলছে, আর্কটিক অঞ্চলে চীনের সঙ্গে যৌথ টহল চালাচ্ছে রাশিয়া।
তবে রাশিয়া, চীন, ইরান ও উত্তর কোরিয়া অতীতে একই ধরনের মূল্যায়নের বিরোধিতা করেছে। ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীল আচরণের অভিযোগ করেছে তারা।
বাইডেনের নতুন স্মরকলিপিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন শাখাকে ইউরোপ ও এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত এই চারটি দেশের সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলোতে আরও ভালভাবে মনোনিবেশ করার জন্য আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলোকে পুনর্গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই নথিতে উল্লিখিত কৌশল ও নীতি পরামর্শগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেন কিংবা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যানও করতে পারেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়টার্স-কে বলেছেন, “নতুন প্রশাসন যখন দেখবে, তখন আমার মনে হয় না তারা এটাতে তাদেরকে নিয়ম-কানুনের বেড়াজালে বাঁধা হচ্ছে এমন কিছু দেখতে পাবে। এতে তাদেরকে বিকল্প একটি বা আরেকটি নীতির দিকেও ঝুঁকতে হবে না।”
আরেক কর্মকর্তা বলেন, “তারা নতুন বিভিন্ন বিকল্প তৈরি করে রেখে যেতে চান, যাতে নতুন প্রশাসন এবং কংগ্রেস সত্যিকার অর্থে মাঠে নামতে পারে।”
কর্মকর্তারা বলেন, সামনের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে- চারটি দেশের ওপর আরোপিত যে কোনও নিষেধাজ্ঞা ও রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধের সমন্বিত প্রয়োগ করা নিশ্চিত করা। এতে দেশগুলো থেকে পাল্টা পদক্ষেপের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি এসব দেশকে কেন্দ্র করে যেসব সংকট দেখা দিয়েছে সেগুলো আরও্ ভালভাবে সামাল দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এখন এমন একটি বিশ্বে রয়েছি, যেখানে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিপক্ষরা একে অপরের কাছ থেকে খুব দ্রুত কৌশল রপ্ত করে নিচ্ছে।”
অন্য একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তবে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে এই চার দেশের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন: রাশিয়া ও ইরান তাদের মিত্রদেশ সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। গত সপ্তাহে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বিদ্রোহীরা।