Published : 09 Apr 2024, 03:29 PM
ইসরায়েলের ছয় মাস ধরে চলা বিমান ও স্থল হামলায় ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির বাসিন্দারা দুর্ভিক্ষের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে। মুসলিমদের সংযমের মাস রমজান শেষে উৎসবের দিন ঈদেও গাজার বহু ফিলিস্তিনি অনাহারে থাকবে।
রমজান মাসের শেষ দিকে এসে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কিছুটা বাড়তে শুরু করলেও এখনও তা পর্যাপ্ত নয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স।
ঘনবসতিপূর্ণ ক্ষুদে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, সরবরাহ আগের চেয়ে বাড়লেও এখনও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
বুধবার গাজায় ঈদ উল-ফিতর উৎসব পালিত হওয়ার কথা। কিন্তু ছিটমহলটির ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উৎসবের কোনো আমেজ নেই, তারা অন্য দেশগুলোর পাঠানো ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছে। পরিচয় পত্র হাতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘের বিতরণ কেন্দ্রগুলো থেকে দেওয়া ত্রাণ বাক্স গ্রহণ করছে।
গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর দাইর আল-বালাহ এক শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা ফায়েজ আব্দেলহাদি বলেন, “পর্যাপ্ত খাবার নেই। দুই মাস ধরে আমি কোনো ত্রাণ বাক্স পাইনি। গতকাল আমরা একটি বাক্স পেয়েছিলাম, কিন্তু সেটি আমার ও আমার সন্তানদের এবং আমাদের সঙ্গে থাকা ১৮ জন মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। একজন যদি প্রতিদিন একটি করে বাক্সও পায় তাহলেও তা পর্যাপ্ত হবে না।”
তিনি জানান, বিতরণ করা ত্রাণে খাবার থাকলেও সাবান ও ডিটারজেন্টের মতো প্রাথমিক স্বাস্থ্য পণ্য নেই।
ইসরায়েলের হামলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে গাজায় জনস্বাস্থ্য সংকট দেখা দিয়েছে। পরিষ্কার পানির অভাবে রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ছে।
এই শিবিরেরই আরেক নারী উম্মে মোহাম্মদ হামাদ। উত্তর গাজার নিজ বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে তিনি জাতিসংঘের এই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। দুই মাস ধরে এখানে আছেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা এতোদিন কোনো ত্রাণ বাক্স পাইনি, কোনো সাহায্য পাইনি। শুধু আজ তারা ত্রাণ বাক্স বিতরণ শুরু করেছে।”
গাজার অনাহারে থাকা লোকজন অপুষ্টি ও পানি শূন্যতার শিকার হয়ে হাসপাতালগুলোর দ্বারস্থ হচ্ছেন। কিন্তু হাসপাতালগুলোতেও পর্যাপ্ত রসদ নেই। এখানেও ওষুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর ও বৈচিত্রময় খাবারের অভাবই সবচেয়ে বড় সমস্যা।
আরও পড়ুন: