গাজা সিটি, খান ইউনিস, রাফা, বেইত লাহিয়া এবং আল বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে।
Published : 20 Apr 2025, 10:45 AM
ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ করেই চলেছে। শনিবার ভোর থেকে শুরু করে সারাদিনে অন্তত ৫৪ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে তারা।
আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজা সিটি, খান ইউনিস, রাফা, বেইত লাহিয়া এবং আল বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গাজার দমকল বাহিনীর মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল শনিবার রাতে বলেছেন, “গাজায় ভোর থেকে ইসরায়েলি আকাশ হামলায় এ পর্যন্ত ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। বোমা হামলা অব্যাহত থাকায় সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে।”
তিনি জানান, খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তিনটি তাঁবুতে চালানো এক হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একটি তাঁবু সেলুন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেখানে চালানো হামলায় দুই শিশু ও এক নারীসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।
শহরটির বারাকা পরিবারের একটি বাড়ি লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় আরও ১০ জন নিহত হয়েছেন।
বাসাল বলেছেন, “খান ইউনিসে আরও অনেকগুলো হামলা চালানো হয়েছে। এতে আরও আটজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় দুইজন নিহত হয়েছেন।”
গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত ও আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে বাস্তুচ্যুতদের দুটি তাঁবুতে চালানো হামলায় আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় তীব্র জ্বালানি সংকট চলছে, এতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জরুরি অস্ত্রোপচার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এর আগে শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, গোয়েন্দা তথ্যের সূত্রধরে আইডিএফের সেনারা গাজার ‘জঙ্গি’ সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে আর তাদের অবকাঠামো গুড়িয়ে দিয়ে ‘জঙ্গিদের’ হত্যা করছে।
প্রায় দুই মাস ধরে যুদ্ধবিরতি চলার পর ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তারপর থেকে গাজায় তাদের বিরামহীন হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
হামলার পাশাপাশি ২৩ লাখ বাসিন্দার ভূখণ্ড গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। সব ধরনের মানবিক ত্রাণ, খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ আটকে রেখেছে তারা। এনজিওগুলো বলছে, গাজায় ইতোমধ্যে একটি দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।
গাজায় ১৮ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে ছিটমহলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।