নাসার নতুন স্যাটেলাইট ভূপৃষ্ঠের প্রতি সেন্টিমিটারের তথ্য দেখাবে

আনুমানিক দেড়শ কোটি ডলারের এই স্যাটেলাইট সম্ভবত এ যাবতকালের সবচেয়ে দামী ‘আর্থ ইমেজিং’ স্যাটেলাইট হতে যাচ্ছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2023, 12:34 PM
Updated : 5 Feb 2023, 12:34 PM

মহাকাশে উচ্চ রেজুলিউশনে বিভিন্ন পরিবেশগত পরিবর্তন পাঠের জন্য শীঘ্রই নতুন এক টুল চালু করতে যাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। এর ফলে, বিভিন্ন তথ্য জানায় অপেক্ষার সময়ও কমে আসবে।

ভারতের মহাকাশ সংস্থার (ইসরো)’র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই ‘আর্থ-ম্যাপিং’ স্যাটেলাইট ‘নিসার (নাসা-ইসরো সার)’ স্যাটেলাইট সম্পর্কে ৩ ফেব্রুয়ারি সংবাদমধ্যমগুলোর মুখোমুখি হয় নাসার ‘জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি’।

স্যাটেলাইটটি ভারত থেকে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা থাকলেও ২০২৪ সালের আগে সেটি হচ্ছে না। মহাকাশে এর কার্যক্রমের মেয়াদ মাত্রই তিন বছর হলেও, নাসা বলছে, এতে এমন ‘আলোড়ন তোলা’ প্রযুক্তি থাকার সম্ভাবনা আছে, যা পৃথিবীর পরিস্থিতি বুঝতে সহায়তার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গেও মানিয়ে নিতে পারে।

দ্বৈত তরঙ্গ ব্যবহার করা প্রথম ‘রেডার ইমেজিং স্যাটেলাইট’ হতে যাচ্ছে নিসার। এর ফলে, পদ্ধতিগতভাবে ভূত্বকের বিস্তারিত তথ্য নতুন মাত্রায় ‘ম্যাপ’ করার পাশাপাশি এটি এক সেন্টিমিটারের মধ্যে আসা বিভিন্ন পরিবর্তনও শনাক্ত করতে পারে।

এর মাধ্যমে স্যাটেলাইটটি ভূমিকম্প, সুনামি’সহ অন্যান্য বিপর্যয়, এমনকি সূক্ষ্ম বিষয়গুলোও পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাবে। আর ভূত্বকের বিবর্তন, ইকোসিস্টেমে ব্যাঘাত ও বরফের স্তর ধসে যাওয়ার মতো বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণেও সহায়তা করবে এটি।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযানের মধ্যে বিভিন্ন ডেটায় প্রবেশাধিকারের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্যাটেলাইটটি প্রতি ১২দিন পরপর ভূপৃষ্ঠের বৈশ্বিক সম্প্রচারের সুবিধা দেওয়ায় সময়-ভিত্তিক চিত্রায়নের বিষয়টিও তুলনামূলক বাস্তবসম্মত হবে।

মিশন দলের প্রত্যাশা, এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই বিভিন্ন ডেটা সর্বজনীনভাবে প্রকাশের পাশাপাশি জরুরী পরিস্থিতিতে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ডেটা সরবরাহ করা যাবে। এই তথ্য বিশ্লেষণে ইচ্ছুক যে কেউই এটি ব্যবহার করতে পারেন।

আনুমানিক দেড়শ কোটি ডলারের এই স্যাটেলাইট সম্ভবত এ যাবতকালের সবচেয়ে দামী ‘আর্থ ইমেজিং’ স্যাটেলাইট হতে যাচ্ছে। আর বিভিন্ন সরকারী সংস্থাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতিতে সহায়তার পাশাপাশি মানুষের জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ঝুঁকি বোঝার সক্ষমতা উন্নত করায় এই বিনিয়োগ যুক্তিসঙ্গত বলেই উঠে এসেছে এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে।