তবে ভিডিও’তে ‘স্টেবিলাইজ’ মোড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা মানতে হবে। এজন্য ফোনে থাকা ক্যামেরা সেটিং চালু করতে হবে ব্যবহারকারীদের।
Published : 19 Jan 2024, 02:13 PM
সামাজিক মাধ্যম অ্যাপগুলো প্রায়শই নিজেদের বিভিন্ন ক্যামেরা টুল ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে থাকে ব্যবহারকারীদের। যার উল্টো চিত্র দেখা যায় বিভিন্ন স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানির বেলায়।
তবে গ্রাহকদের প্রয়োজনের বিষয়টি বুঝতে পেরে ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাট-এর সঙ্গে জোট বেঁধেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইলেকট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাং। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর ফলে সামাজিক মাধ্যম দুটিতে ব্যবহার করা যাবে স্যামসাং এস২৪ সিরিজের নতুন স্মার্টফোন ‘এস২৪ আল্ট্রা’র বিভিন্ন ক্যামেরা ফিচার।
টাইটানিয়াম ফ্রেমের এস২৪ আল্ট্রা ফোনটির মূল ক্যামেরার রেজুলিউশন দুইশ মেগাপিক্সেল। পাশাপাশি, এতে ‘সুপার এইচডিআর’ মোড যোগ করার পাশাপাশি এর ‘নাইটগ্রাফি’ মোডও আপগ্রেড করা হয়েছে, যার মাধ্যমে রাতের বেলাতেও ছবি বা ভিডিও করার সময় স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। এ ছাড়া, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের ‘ইন-অ্যাপ ক্যামেরার’ মাধ্যমেও এ সুবিধাগুলো ব্যবহার করা যাবে।
তবে ভিডিওতে ‘স্ট্যাবিলাইজ’ মোড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা মানতে হবে। এজন্য ফোনে থাকা ক্যামেরা সেটিং চালু করতে হবে ব্যবহারকারীদের।
ব্যবহারকারীর জন্য এ সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে স্যামসাংয়ের ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।
এই নতুন সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের ছবি আরও ভালভাবে এডিট ও আপলোড করার সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি, এতে ব্যবহারকারীর ছবি দেখার অভিজ্ঞতাও আগের চেয়ে উন্নত হবে।
এছাড়া, ‘মোশন’ ধাঁচের ছবি থেকে শুরু করে সরাসরি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি তৈরি করার ক্ষমতাও যুক্ত হয়েছে এতে। আর নতুন স্মার্টফোনটিতে স্যামসাংয়ের ‘সুপার এইচডিআর’ ফিচার থাকায় এই সুবিধা ইনস্টাগ্রামেও ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।
অদূর ভবিষ্যতে সম্ভবত এই ধরনের প্রাণবন্ত অ্যাপ আরও আসতে পারে, যার প্রথম নিদর্শন এটি। — বলেছে এনগ্যাজেট।
‘এস২৪ আল্ট্রা’ স্মার্টফোনের ক্যামেরায় নতুন এআই ক্ষমতাও বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আর দুটি জনপ্রিয় সামাজিক প্ল্যাটফর্মে স্যামসাংয়ের বিভিন্ন ক্যামেরা ফিচার ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টিও অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়।
এনগ্যাজেট বলছে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে ভিন্ন স্বাদ পাওয়ার ইচ্ছা থাকলে তারা এই ক্যামেরা অ্যাপ ও এডিটিং টুলগুলো ব্যবহার করতে চাইবেন। বিশেষ করে যখন এতে ‘এডিটিং সাজেশন’, ‘জেনারেটিভ এডিট’ (নেটওয়ার্ক সংযোগ প্রয়োজন) ও ‘ইন্সট্যান্ট স্লো-মো’র মতো এআইভিত্তিক সুবিধা যোগ করা হয়েছে।