টিকটকে ২ কোটি ৬০ লাখ, ইউটিউবে ২০ লাখ বারের বেশি দেখা হয়েছে ‘প্রতারণার ফাঁদ’ মিউজিক ভিডিওটি
Published : 07 May 2024, 09:37 PM
মোবাইলে ফোনে আর্থিক লেনদেনে প্রতারণা থেকে কীভাবে নিরাপদ থাকা যায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে গান বেঁধেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় র্যাপার আলী হাসান।
তরুণদের পছন্দের গানের তালে তালে ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপদ থাকার তথ্যগুলো তুলে ধরেছেন এই তরুণ গায়ক। সহজ কথা ও ছন্দ-সুরে মজার এবং বাস্তবিক উদহারণের প্রেক্ষাপটে চিত্রায়িত মিউজিক ভিডিওটি বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে।
গানটি প্রকাশিত হয়েছে জি-সিরিজ মিউজিক-এর ইউটিউব চ্যানেলে। ইউটিউবে ২০ লাখ বার দেখার পাশাপাশি ভিডিওটি টিকটকে দেখা হয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ বারের বেশি।
কেবল পিন, ওটিপি শেয়ার না করেই নিরাপদ থাকা যায় এমএফএসের মত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে। এই তথ্যটি আলী হাসান তুলে ধরেছেন ‘প্রতারণার ফাঁদ’ নামের এই গানে মজার দুটো লাইন দিয়ে– “অনলাইনে নিজের টাকা করতে হইলে কেয়ার। মনের ভুলেও কইরেন না কেউ পিন-ওটিপি শেয়ার।”
শহর ছাড়িয়ে গ্রাম, এমন কি প্রত্যন্ত এলাকার মানুষও এখন ব্যবহার করছেন মোবাইল আর্থিক সেবা-এমএফএস। সব শ্রেণির মানুষই হাতে থাকা মোবাইল ফোনে এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন করছেন হরহামেশা।
মানিব্যাগ ছাড়াই মোবাইল হাতে নিয়ে দৈনন্দিন লেনদেন সেরে ফেলছে তরুণ প্রজন্ম। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ক্যাশবিহীন লেনদেনে আগ্রহীদের তালিকায় এগিয়ে তরুণ প্রজন্ম।
তরুণদের পছন্দের তালিকায় আছে র্যাপ গানও। তাই দেশে এমএফএস-এর ব্যবহার এবং র্যাপ গান– এ দুইয়ের সংযোগ ঘটিয়ে তরুণদের কাছে ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপদ থাকার বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন তরুণ গায়ক আলী হাসান।
তিনি বলেন, “কিছু দিন ধরেই আশপাশে প্রতারণার বিষয়গুলো চোখে পড়ছিল। আমি খেয়াল করলাম, প্রতারণার ফাঁদ যত মজবুতই হোক না কেন, অল্প কিছু বিষয়ে সচেতন হলেই নিজের এমএফএস অ্যাকাউন্টকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। মানুষের মাঝে এসব বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতেই আমাদের এই প্রয়াস।”
গানের ভিডিওতে আলী হাসান তার সাবলীল বাচনভঙ্গিতে এলাকার মানুষের সাথে কথোপকথনে বিভিন্ন প্রতারণা বিষয়ক আলোচনা তুলে ধরেছেন।
“চারিদিকে ঠকঠক, কড়া নাড়ে প্রতারক। মেসেজ আইলে মোবাইলে, বুক করে ধক ধক। পিন দিয়ে ধরা খাইসে আমগো রহিম চাচায়। চান্দি - মান্দি গরম কইরা যারে তারে চেঁচায়।” - এই চার লাইনে তিনি প্রকাশ করেছেন, কীভাবে প্রতারক গ্রাহকের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে পিন হাতিয়ে নেয়।
“তালার চাবি চোররে দিলে তালার দোষ নাই, কিছু মানুষ অনেক লোভী, তাদের কোনো হুঁশ নাই” - আলী হাসানের এই লাইনে প্রকাশ পায় যে নিজের অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা রক্ষায় সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা। মাঝেমধ্যেই অনেক আকর্ষণীয় পুরস্কারের অফার দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে থাকে প্রতারকরা।
গানের গল্পে কথোপকথনের মাঝেই একজন প্রতারণার শিকার হয়ে যখন বলেন ডিজিটাল লেনদেনে বিশ্বাস নেই, তখন তার উত্তরে আলী হাসান বলেন “সচেতন আমরা হইলে, চান্স নাই প্রতারকের।”
সহজ ভাষায় এ শিল্পী তুলে ধরেছেন, নিজে সতর্ক থাকলে এবং নিজের তথ্য নিরাপত্তার সাথে ব্যবহার করলে প্রতারকের সফল হওয়ার সুযোগ নেই। আলী হাসানের গানের একটি লাইন বলে– “প্রতারকের ঝাড়ি-ঝুড়ি সবই আমি বুঝি, পিন-ওটিপি গোপন রাখলে ব্যাপারটা একদম সুজি।”
দেশের কোটি মানুষ যেখানে ডিজিটাল লেনদেনের এই সুযোগ পাচ্ছে, সেখানে গ্রাহকরা একটু সতর্কতা অবলম্বন করলেই এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। এই ব্যাপারে জনগণকে উৎসাহিত করতেই গানে বলা হয়েছে – “কোম্পানির দোষ কী কন, প্রতারিত হওয়ার আগেই হইতে হবে সচেতন”।