এর আগে পেয়েছিল তিন মোবাইল ফোন অপারেটর।
Published : 14 Mar 2024, 06:35 PM
মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংককেও পঞ্চম প্রজন্মের তারবিহীন সেবা দিতে একীভূত লাইসেন্স দিয়েছে বিটিআরসি।
বাংলালিংকের কাছে বৃহস্পতিবার লাইসেন্স হস্তান্তর করার তথ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
এদিন দুপুরে ঢাকার আগারগাঁওয়ে সংস্থার কার্যালয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদের কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করেন বাংলালিংকের সিইও এরিক অস।
এর আগে গত ১১ মার্চ অপর তিন অপারেটর- গ্রামীণফোন, রবি এবং টেলিটককে আনুষ্ঠানিকভাবে একীভূত লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়।
একীভূত বা ইউনিফাইড লাইসেন্স পাওয়ার পর অপারেটরগুলোর ফাইভ জি বা এর চেয়ে উন্নততর প্রযুক্তির তারবিহীন সেবা দিতে আর কোনো লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না বলে সেদিনের অনুষ্ঠানে বলেছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ।
একই সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদী এই লাইসেন্সের আওতায় অপারেটরগুলোকে পৃথকভাবে টুজি, থ্রিজি, ফোর জি বা ফাইভ জির লাইসেন্স নিতে হবে না।
বর্তমানে দেশে ফোর জি প্রজন্মের তারবিহীন সেবা দিচ্ছে অপারেটরগুলো। এর আগে ফাইভ জির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও অপারেটরগুলোর দিক থেকে।
ফাইভ জির দ্বার খুলল, একীভূত লাইসেন্স পেল ৩ মোবাইল অপারেটর
এর আগে বাংলালিংকের পর্ষদে অনুমোদনের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় মোবাইল ফোন অপারেটরটি এ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে দেরি করে।
ফাইভজিসহ পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তিগত সুবিধা দিতে ‘রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং’ গাইডলাইনসের আলোকে অপারেটরগুলোকে ‘সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্স’ এবং ‘রেডিও কমিউনিকেশন্স অ্যাপারেটাস লাইসেন্স ফর সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস’ শীর্ষক দুটি একীভূত লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অপারেটরগুলোকে আর পৃথকভাবে টুজি, থ্রিজি, ফোর জি বা ফাইভ জির লাইসেন্স নিতে হবে না।
বাংলালিংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন এ লাইসেন্স সংযোগ বাড়ানো ও টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার পথকে মসৃণ করবে। এছাড়া এটি অ্যাকটিভ শেয়ারিং, ডেটা রিটেনশনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নীতিমালা, অডিট চলাকালীন সময়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন ফি নির্ধারণে আরও স্বচ্ছতা এনেছে।
অপারেটরটির মূল কোম্পানি ভিওন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কান তেরজিওগ্লু বলেন, “উচ্চ মানসম্মত গ্রাহকসেবার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে একীভূত লাইসেন্স সুবিধাটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত সময়োপযোগী প্রাপ্তি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যৌথ লক্ষ্যে কাজ করতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের এই সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণে বাংলালিংকে সহযোগিতা করার জন্য বিটিআরসি-কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।”
এদিনের লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ-হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার মুশফিক মান্নান চৌধুরী, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আমিনুল হক, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।