যুক্তরাজ্যের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে বড় ঝুঁকি এআই

এআইয়ের সবচেয়ে বড় সক্ষমতা হল প্রচলিত পদ্ধতি ব্যবহার করা, যেখানে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আর বানোয়াট অনলাইন পোস্ট ও ডিপফেইক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2023, 11:37 AM
Updated : 14 Nov 2023, 11:37 AM

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে ঝুঁকিও বাড়ছে --এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটির সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা।

দেশটির ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার’ (এনসিএসসি) বলেছে, রাশিয়ার মতো দেশগুলো সম্ভবত ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করবে। পাশাপাশি, আগামীতে যুক্তরাষ্ট্র’সহ পশ্চিমা দেশগুলোর নির্বাচনে এ প্রযুক্তির অনৈতিক ব্যবহারের ঝুঁকিও রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিজিএইচকিউর অংশ এনসিএসসি। সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক বার্ষিক পর্যালোচনায় এনসিএসসি সতর্কবার্তা দিয়েছে, ভোটারদের প্রভাবিত করতে বাস্তবসম্মত ডিপফেইক ভিডিও ও ভুল তথ্য ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ছে।

“যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে কাগজের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে এতে হস্তক্ষেপ করা জটিল হয়ে উঠলেও এআই প্রযুক্তির যুগে আমরা প্রথমবারের মতো নির্বাচন আয়োজন করছি।” --বলেছে সংস্থাটি।

“তবে, একেবারে নতুন ঝুঁকির বদলে এআইয়ের সবচেয়ে বড় সক্ষমতা হল প্রচলিত পদ্ধতি ব্যবহার করা, যেখানে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।”

এর মধ্যে রয়েছে ভুলভাবে উপস্থাপন করা অনলাইন পোস্ট ও ডিপফেইক ভিডিও, যা সামাজিক মাধ্যমে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে।

“আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে কোনো হস্তক্ষেপ বা বাধা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি অনলাইনে ভুল তথ্য ছড়ানোর মতো ঝুঁকি ঠেকাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।” --বলেছে এনসিএসসি।

সংস্থাটি আরও ব্যাখ্যা করেছে, ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর থেকে কীভাবে ‘হুমকির প্রেক্ষাপটে বড় বদল এসেছে’, বিশেষ করে ইউক্রেইন রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে।

ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ‘বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলার’ প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে।

রাশিয়া ও এর সমমনা দেশগুলো থেকে সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করেছে এনসিএসসি। তবে, যুক্তরাজ্য এই ধরনের প্রতিপক্ষ ঠেকাতে প্রস্তুত আছে বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

“এনসিএসসি’র মূল্যায়ন বলছে, নির্বাচনের মতো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই নতুন ও পুরোনো উভয় ধরনের হুমকি নিয়েই নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

এমন ঝুঁকি ঠেকাতে ‘ডিফেন্ডিং ডেমোক্রেসি টাস্কফোর্স’ ও ‘জয়েন্ট ইলেকশন সিকিউরিটি প্রিপেয়ার্ডনেস ইউনিট’ নামে দুটি দল গঠন করেছে যুক্তরাজ্য।

রাশিয়ার ওপর মনযোগ দেওয়ার পাশাপাশি এনসিএসসি’র প্রতিবেদনে চীন, ইরান ও উত্তর কোরিয়াও সাইবার নিরাপত্তা হুমকির তালিকায় রয়েছে।