“আমি জানি, আমার ওপর অনেকেই রেগে আছেন। সবার এমন পরিস্থিতির পেছনে আমি নিজেই দায়ী।” -- জ্যাক ডরসি।
Published : 06 Nov 2022, 04:13 PM
ইলন মাস্কের মালিকানায় টুইটারে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের বিপরীতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্ল্যাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সিইও জ্যাক ডরসি। বলছেন, এর দাও তার।
তার ভাষ্যমতে, ‘সবার এমন পরিস্থিতির পেছনে’ দায়ী তিনি নিজেই। পাশাপাশি, কোম্পানিটির আকার ‘একটু বেশিই দ্রুত’ বড় করে ফেলেছেন তিনি।
শুক্রবার টুইটারের প্রায় অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই করেছেন মাস্ক, এর প্রভাব পড়েছে কোম্পানির সবগুলো বিভাগের ওপর।
“টুইটারের এখনকার বা আগের কর্মীরা দাঁত কামড়ে থাকা স্বভাবের এবং একইসঙ্গে প্রাণশক্তিতে ভরপুর। পরিস্থিতি যতোই বাজে হোক না কেন, তারা কোনো পথ খুঁজে বের করবেই।” --লিখেছেন ডরসি।
Folks at Twitter past and present are strong and resilient. They will always find a way no matter how difficult the moment. I realize many are angry with me. I own the responsibility for why everyone is in this situation: I grew the company size too quickly. I apologize for that.
— jack (@jack) November 5, 2022
“আমি জানি, আমার ওপর অনেকেই রেগে আছেন। সবার এমন পরিস্থিতির পেছনে আমি নিজেই দায়ী।”
“আমি এই কোম্পানি একটু বেশিই দ্রুত বড় করে ফেলেছি। সেজন্য ক্ষমা চাইছি আমি।”
টুইটারের নেতৃত্বে ডরসি দুইবার ছিলেন। ২০০৭ সালে পদচ্যুত হওয়ার পর ২০১৫ সালে তিনি পুনরায় টুইটারের সিইও হিসেবে ফিরে আসেন। এরপর, গত বছরের নভেম্বরে পদটি থেকে নিজেই সরে দাঁড়ান।
সে সময় টুইটারের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) পরাগ আগরাওয়ালকে সিইও’র দায়িত্ব দেন ডরসি। এর পরপরই মাস্কের টুইটার অধিগ্রহনের প্রস্তাবে দ্রুতই সমর্থন জানান তিনি।
“ইলনই এর একমাত্র সমাধান হিসেবে বিশ্বাস করি আমি । বিশ্বাস রাখি তার ‘চিন্তাধারা’ প্রসারের লক্ষ্যে।” --এপ্রিলে টুইট করেছেন ডরসি।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস্কের বিরুদ্ধে টুইটারের করা মামলা থেকে যেসব ব্যক্তিগত বার্তা প্রকাশিত হয়েছে, সেখানেও একই মনোভাব দেখিয়েছেন তিনি।
“আমি এটি (অধিগ্রহন) ব্যর্থ হতে দেব না, এর জন্য যা যা দরকার তাই করব। মানবতার জন্যই এটি দরকার।” --মাস্ককে পাঠানো বার্তায় বলেছেন ডরসি।
মার্কিন ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের’ জমা দেওয়া নথি অনুযায়ী, মাস্ক টুইটারের মালিকানা গ্রহণের সময় কোম্পানির দুই দশমিক চার শতাংশ মালিকানা ছিল ডরসির।
টুইটারের প্রায় অর্ধেক কর্মীর পাশাপাশি কনটেন্ট মডারেশন দলের ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের আগে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী পারাগ আগরাওয়াল, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা নেড সিগাল এবং আইন ও নীতিমালাবিষয়ক শীর্ষ নির্বাহী বিজয়া গাড্ডেকে বরখাস্ত করেন মাস্ক।
টুইটারের বিরুদ্ধে একটি ক্লাস অ্যাকশন মামলা দায়ের করেছেন কোম্পানি থেকে ছাঁটাইকৃত একদল কর্মী। তাদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও ক্যালিফোর্নিয়ার আইন লঙ্ঘন করে ৬০ দিনের অগ্রিম নোটিশ না দিয়েই কর্মীদের ছাঁটাই করছে টুইটার।