অস্টিন শহরের বাইরে একটি নিজস্ব কমিউনিটি তৈরির পরিকল্পনা করছেন মাস্ক। এর পাশাপাশি, অস্টিনে নিজের একটি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ইচ্ছাও আছে মার্কিন এ ধনকুবেরের।
Published : 17 Jul 2024, 03:40 PM
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’ ও রকেট কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’-এর সদর দপ্তরের ঠিকানা ক্যালিফোর্নিয়া থেকে সরিয়ে টেক্সাসে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের নতুন ‘সেইফটি অ্যাক্ট’-এর কথা উল্লেখ করে এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক লিখেছেন, “এই আইনের পাশাপাশি আগের অন্যান্য কারণ, যেখানে আমাদের পরিবার ও কোম্পানি উভয়ই আক্রমণের শিকার, সে বিষয়টি মাথায় রেখে স্পেসএক্স নিজেদের সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়ার হথর্ন থেকে টেক্সাসের স্টারবেইজে স্থানান্তর করবে।”
And 𝕏 HQ will move to Austin https://t.co/LUDfLEsztj
— Elon Musk (@elonmusk) July 16, 2024
সোমবার এ আইনে স্বাক্ষর করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। নতুন এ আইনে শিক্ষার্থীদের অনুমতি ছাড়াই তাদের জেন্ডার পরিবর্তনের তথ্য প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা শিক্ষকদের ওপর স্কুল চাপিয়ে দিতে পারবে না। এর পাশাপাশি কোনো শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করতে না চাওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও এই আইনে নিষিদ্ধ বলে প্রতিবেদনে লিখেছে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস।
ওই পোস্টের কিছু সময় পর আরেক পোস্টে মাস্ক বলেছেন, এক্স, যার সদর দপ্তর এখন স্যান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত, তা বদলে অস্টিনে নেওয়া হবে।
গত বছর মার্কিন বাণিজ্য দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, অস্টিনের বাইরে ‘স্নেইলব্রুক’ নামে একটি নিজস্ব কমিউনিটি তৈরির পরিকল্পনা করছেন মাস্ক। এর পাশাপাশি, অস্টিনে নিজের একটি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ইচ্ছাও আছে মার্কিন এ ধনকুবেরের।
সম্প্রতি নিজের অন্যান্য ব্যবসার সদর দপ্তরও সরিয়ে ফেলেছেন মাস্ক। এর আগে জানুয়ারিতে ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যের এক বিচারক টেসলায় মাস্কের সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের ‘পে প্যাকেজ’টি নাকচ করেছিলেন। পরবর্তীতে অবশ্য কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা সে প্যাকেজে অনুমোদন দিয়েছেন।
এদিকে, স্পেসএক্স-এর সদর দপ্তর ডেলাওয়্যার থেকে টেক্সাসে সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জমা দিয়েছেন মাস্ক। ২০২১ সালে টেসলার সদর দপ্তরও স্থানান্তর করেছিলেন তিনি, যেখানে কোভিড মহামারীর সময় ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্ট শহরে কোম্পানিটির একটি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা।