ডিভাইসের ‘দীর্ঘায়ুর‘ ওপর নজর দিয়ে আনা নতুন আপডেটের অংশ হতে যাচ্ছে এ পরিবর্তন।
Published : 29 Jun 2024, 05:34 PM
আইফোনের ব্যাটারি ও স্ক্রিন পাল্টে ফেলা আরও সহজ করবে অ্যাপল। কারণ, আইফোন ও অন্যান্য ডিভাইসের আয়ু বাড়ানোর ওপর তাদের নজর রয়েছে বলে প্রকাশ করেছে এ টেক জায়ান্ট।
কোম্পানিটি এখন আইফোনে যোগ করা স্ক্রিন ও ব্যাটারির বিষয়ে আরও বেশি তথ্য প্রকাশ করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
ডিভাইসের ‘দীর্ঘায়ুর‘ ওপর নজর দিয়ে আনা নতুন আপডেটের অংশ হতে যাচ্ছে এ পরিবর্তন। কোম্পানিটি ঘোষণা করেছে, এটি “সেলফ-সার্ভিস রিপেয়ার ডায়াগনস্টিক” টুলটির বিস্তৃতি আরও বাড়াবে, যা ফোনের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের নিজস্ব ডিভাইস বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করবে।
পাশাপাশি, “লংজিভিটি, বাই ডিজাইন” শীর্ষক একটি নতুন গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেছে অ্যাপল, যা ব্যাখ্যা করে কীভাবে ডিভাইসগুলোর আয়ু বাড়ানোর চেষ্টা করেছে কোম্পানিটি।
“আমরা গ্রাহকদের সেরা অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্যই সবসময় কাজ করি; তাই আমরা এমন পণ্য নকশা করি যা অনেকদিন টেকে।” – বলা হয়েছে ওই গবেষণাপত্রে।
আর তাদের এ লক্ষ্য শুরু হয় নকশা প্রক্রিয়ার একদম প্রথমেই ও ভবিষ্যতের ব্যবহারের অনুমানও প্রভাব ফেলে বিষয়টিতে।
অ্যাপল প্রায়ই এমন সমালোচনার মুখে পড়েছে যে, তাদের ডিভাইসগুলো পরিকল্পিতভাবে এমন উপায়ে তৈরি হয়, যাতে সেগুলো দ্রুত পুরানো হয়ে যায় ও ব্যবহারকারীদের দ্রুত নতুন ডিভাইস কিনতে বাধ্য হতে হয়।
তবে, অ্যাপলের দাবি, প্রতিযোগী কোম্পানির তুলনায় তাদের ডিভাইসের আয়ুষ্কাল বেশি বলে উঠে এসেছে বিভিন্ন তথ্যে। পাশাপাশি, আইফোন পুরনো হলে অন্যান্য ডিভাইসের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি মূল্য ধরে রাখে এবং কয়েক কোটি ডিভাইসের বয়স পাঁচ বছরের বেশি হওয়ার পরও সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
‘পার্টস পেয়ারিং’ নামের পদ্ধতি ব্যবহার করে অ্যাপল; যার অর্থ, একটি আইফোন নির্দিষ্ট স্ক্রিন ও ব্যাটারির সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং সেগুলো অদলবদল করা যায় না। কোম্পানির দাবি এটি ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্যই, কারণ এর মানে হল ডিসপ্লেটি ওই নির্দিষ্ট ডিভাইসের সঙ্গে বিশেষভাবে ‘ক্যালিব্রেট’ বা যুক্ত করা হয়েছে।
তবে, এখন অ্যাপল এসব ‘বিধিনিষেধের বাড়াবাড়ি’ কিছুটা কমাবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
বর্তমানে, আইফোনের ডিসপ্লে বদলানোর পর সেটি অ্যাপলের ট্রু টোন ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেনা, যা পরিবেশের আলোর সঙ্গে স্ক্রিনের সামাঞ্জস্য তৈরি করে। এ ছাড়া, বদলানো ব্যাটারিও কোম্পানির ‘ব্যাটারি হেলথ’-এর মতো সফস্টওটয়্যারের ফিচার ব্যবহার করতে পারে না।
এখন, থার্ড-পার্টি থেকে স্ক্রিন বা ব্যাটারি বদলানো হলে কিছু ফিচার ব্যবহার করা যাবে। ট্রু টোন চালু হবে ও থার্ড-পার্টি ব্যাটারি সম্পর্কে অ্যাপল আরও ভাল বিশ্লেষণের সুযোগ তৈরি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
তবে, ফিচারগুলোতে কিছু বাড়তি সতর্কতা জুড়ে দেবে অ্যাপল। উদাহরণ হিসেবে, ট্রু টোন কেবল “সেরা পারফরমেন্স”-এর বেলায়ই সঠিকভাবে কাজ করবে, এবং ব্যাটারি ফিচারে সতর্কতা থাকবে যে সেটি শতভাগ নিশ্চিত হয়ে যাচাই করা যাবে না।
কিছু থার্ড-পার্টি ব্যাটারি নতুন হিসেবে বিক্রি হলেও বাস্তবে সেকেন্ড-হ্যান্ড; ফলে, এসব ব্যাটারি স্বাস্থ্যের তথ্য ও কতবার চার্জ করা হয়েছে সে তথ্যটি ভুলও হতে পারে বলে জানিয়েছে অ্যাপল।