সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে, উৎক্ষেপণের ৯০ মিনিট পর প্রশান্ত মহাসাগরে উলম্বভাবে অবতরণ করবে স্টারশিপ।
Published : 17 Nov 2023, 01:09 PM
বিশ্বের বৃহত্তম রকেট স্টারশিপের দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ পরীক্ষার জন্য স্পেসএক্স-কে অনুমতি দিয়েছে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘এফএএ’।
‘স্টারশিপ সুপার হেভি’ রকেটের দ্বিতীয় উৎক্ষেপণের জন্য স্পেসএক্স’কে লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সংস্থাটি। সংস্থাটির যাচাইয়ে দেখা গেছে, উৎক্ষেপণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পরিবেশগত, আর্থিক ও সুরক্ষাবিষয়ক শর্ত স্পেসএক্স পূরণ করেছে বলে উল্লেখ রয়েছে ওই বিবৃতিতে।
অনুমোদনের পরপরই ১৭ নভেম্বর পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল ৮টায় স্পেসএক্স উৎক্ষেপণ পরীক্ষা চালানোর লক্ষ্যস্থির করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
গেল এপ্রিলে ‘স্টারশিপ’ ও এর ‘সুপার হেভি বুস্টারের’ প্রথম উৎক্ষেপণ পরীক্ষা চালানো হয়। তবে, উৎক্ষেপণের চার মিনিটের মাথায় রকেট বিস্ফোরিত হওয়ার পর কোম্পানির পুনরায় রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে যায়।
সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে স্পেসএক্স বলেছে, সুপার হেভি বুস্টারের প্রোপেলান্টে ছিদ্র থাকায় ব্যর্থ হয়েছে ওই উৎক্ষেপণ। এ ছাড়া, ‘নভোযানটি প্রাথমিক ফ্লাইট কম্পিউটারের’ সঙ্গেও সংযোগ হারিয়ে ফেলেছিল।
ওই ব্যর্থ অভিযানের পর স্টারশিপের ৬৩টি ত্রুটি শনাক্ত করেছে এফএফএ। আর পরবর্তী উৎক্ষেপণের অনুমতি পেতে স্পেসএক্স’কে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে বলে সংস্থাটি।
টেক্সাসের বোকা চিকা শহরের কাছাকাছি অবস্থিত স্টারবেইজ ফ্যাসিলিটি থেকে চালানো এ উৎক্ষেপণের পর আশপাশের এলাকাগুলো যে ক্ষতির মুখে পড়েছে, তার সমালোচনা করেছেন পরিবেশকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা, যেখানে রকেটের ধ্বংসাবশেষ আঘাত হেনেছে অন্তত একটি গাড়িতে।
পুনরায় রকেট উৎক্ষেপণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পরিবেশগত, আর্থিক ও সুরক্ষাবিষয়ক শর্ত পূরণ করে এফএএ’র কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হয়েছে স্পেসএক্স’কে।
কোম্পানি বলছে, দ্বিতীয় উৎক্ষেপণে ব্যবহার করা হবে রকেটের গরম স্তর পৃথক করার নতুন ব্যবস্থা ও রকেটের ‘হেভি র্যাপ্টর’ ইঞ্জিনের জন্য ‘থ্রাস্ট ভেক্টর কন্ট্রোল (টিভিসি)’ প্রযুক্তি। আর লঞ্চপ্যাডের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি পানির মাধ্যমে ঠাণ্ডা করা ‘ফ্লেম ডিফ্লেক্টর’ও যোগ করা হয়েছে রকেটে।
৫ সেপ্টেম্বর লঞ্চপ্যাডে পুরোপুরি অ্যাসেম্বল করা স্টারশিপের একটি ভিডিও পোস্ট করে স্পেসএক্স সিইও ইলন মাস্ক বলেন, এফএএ’র অনুমতি পেলেই রকেটটি উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত।
১০ সেপ্টেম্বর মাস্ক আরেক পোস্টে বলেন, স্টারশিপের পরীক্ষা এগিয়ে নিতে এফএফএ’র প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করা হয়েছে।
ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবকিছু (ফ্লাইটের পূর্ববর্তী অবস্থা ও আবহাওয়ার পরিস্থিতি) পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে উৎক্ষেপণের ৯০ মিনিট পর প্রশান্ত মহাসাগরে উলম্বভাবে অবতরণ করবে স্টারশিপ।