বিশ্বের সর্বনিম্ন ইন্টারনেটে অনুপ্রবেশ হারের দেশগুলোর মধ্যে একটি কিউবা। এবার রাজধানী হাভানাতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিতে যাচ্ছে দেশটি।
Published : 01 Jan 2017, 08:08 PM
কিউবা সরকারের গৃহীত পাইলট প্রকল্পের আওতায় হাভানা শহরতলীর প্রায় দুই হাজার বাসিন্দা এই সেবা পেতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিস (আইএএনএস)।
কমিউনিস্ট শাসিত কিউবায় বর্তমানে ১১২০০০০০ অধিবাসীদের অধিকাংশই শুধু ওয়াই-ফাই হটস্পটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এজন্য দেশটিতে তাদের মাসিক গড় বেতনের প্রায় পাঁচ শতাংশ হারে প্রতি ঘণ্টায় ৮০ কিউবান পেসো মূল্য দিতে হচ্ছে।
মাত্র পাঁচ শতাংশ কিউবান বাসিন্দা সরকারের অনুমতি নিয়ে এখন বাড়িতে ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারছেন। বিশেষভাবে শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক ও বুদ্ধিজীবীদের জন্য এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
"স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ঘটনা এটি," বলেন মার্গারিটা মার্কেজ নামের এক অধিবাসী।।" বাইরের জগতের সংস্পর্শে থাকার জন্য এটি জরুরী।"
"মার্চ থেকে আমাদের ইন্টারনেটের জন্য বিল পরিশোধ করতে হবে এবং আমরা এই খরচ চালিয়ে যেতে পারব কিনা জানি না। অন্তত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে আমরা বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা পেতে যাচ্ছি," বলেন তিনি।
কিউবা বলছে মার্কিন বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞার কারণে খরচ বেড়ে যাওয়ায় নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর উন্নয়নে দেরী হচ্ছে। তবে নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়কেই মূল কারণ হিসেবে দেখছেন সমালোচকরা।
২০১৬ সালে ওয়াই-ফাই সিগনাল সহজলভ্য হওয়ার আগে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবহার কেবল রাষ্ট্রায়ত্ত কাজে আর দামী হোটেলগুলোতেই সীমাবদ্ধ ছিল।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে তারা দেশের সবার জন্য ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে চায় এবং এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই ২৩৭টি ওয়াই-ফাই হটস্পট ইনস্টল করা হয়েছে।