২০১৯ সালে মার্কিন নির্বাচন সম্পর্কিত তীব্র সমালোচনার মুখে বৈশ্বিকভাবে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করেছিল প্ল্যাটফর্মটি।
Published : 04 Jan 2023, 03:14 PM
কোম্পানির আয় বাড়াতে প্ল্যাটফর্মে অনুমোদিত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ধরন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইলন মাস্ক মালিকানাধীন সামাজিক প্ল্যাটফর্ম টুইটার।
মঙ্গলবারের ঘোষণার আগে ২০১৯ সালে বৈশ্বিকভাবে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখানো নিষিদ্ধ করেছিল প্ল্যাটফর্মটি।
কোম্পানি টুইট করেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ‘কারণ-ভিত্তিক’ বিজ্ঞাপনে নিজেদের বিজ্ঞাপনী নীতিমালা শিথিল করবে টুইটার। আর সামনের দিকে অগ্রসর হতে ‘টেলিভিশন ও অন্যান্য গণমাধ্যমের’ সঙ্গে মিল রেখে তারা এইসব নীতিমালা নির্ধারণ করবে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
মার্কিন নির্বাচন সম্পর্কিত বিভিন্ন ‘ভুল তথ্যে’ অনুমোদন দেওয়ায় টুইটার ও ফেইসবুকের মতো বিভিন্ন সামাজিক প্ল্যাটফর্ম তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। এর ফলে, ২০১৯ সালে নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করে টুইটার। পাশাপাশি, বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনও বন্ধ করে দেয় সামাজিক প্ল্যাটফর্মটি।
পদক্ষেপটি ঘোষণার সময় সে সময়ের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসি টুইট করেছিলেন- “আমরা মনে করি, রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছানোর বিষয়টি কিনে নয় বরং অর্জন করে নেওয়া উচিৎ।”
অক্টোবরের শেষে মাস্কের অধিগ্রহণের পর, টুইটারের হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া ও মাসিক আট ডলারের বিনিময়ে ‘ব্লু’ ভেরিফিকেশন ফিচার চালুর পরপরই বিভিন্ন কর্পোরেট বিজ্ঞাপনদাতা প্ল্যাটফর্মটি ছেড়ে চলে যান।
টুইটারে ‘ব্লু-ভেরিফিকেশন’ ফিচারটি চালুর পর অনেকেই প্ল্যাটফর্মটিতে সর্বজনীনভাবে-তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির ছদ্মবেশ ধারণ করে জালিয়াতি করতে শুরু করলে ফিচারটি সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হন মাস্ক।
গত মাসে এই ব্যবস্থার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন মাস্ক। তিনি আরও বলেন, পরের বছর তিনশ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়বে টুইটার।