অন্তত ২৯টি কম্পিউটার সার্ভারের পাশাপাশি প্রায় শতাধিক আইপিটিভি ডিভাইস ব্যবহৃত হচ্ছিল অবৈধভাবে চুরি করা সিনেমা, সিরিজ এবং টিভি চ্যানেল দেখাতে।
Published : 30 Nov 2024, 12:41 PM
বিশ্বের বৃহত্তম ‘পাইরেসি নেটওয়ার্ক’, বা সহজ ভাষায় ডিজিটাল চোরাকারবার চক্রের বিরুদ্ধে বিশাল এক অভিযানে অংশ নিয়েছে ১০ দেশের পুলিশ বাহিনী।
‘অপারেশন টেইকডাউন’ নামের এ অভিযানের অংশ হিসাবে যুক্তরাজ্য, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড এবং রোমানিয়ার বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালানোর কথা প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্ট।
অপরাধ চক্রটি ইউরোপে দুই কোটি ২০ লাখের বেশি ব্যবহারকারীর কাছে পাইরেটেড বা চুরি করা কনটেন্ট পাচার করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে, যা প্রতিমাসে ২৫ কোটি ইউরোর বেশি অবৈধ আয় তৈরি করছিল।
অডিওভিজুয়াল অ্যান্টি-পাইরেসি অ্যালায়েন্স (এএপিএ) সমর্থিত এ অভিযানের ফলে ১৬ লাখ ইউরোর সমপরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১ জন। পাশাপাশি, আরও ১০২ জন তদন্তের আওতায় রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইনডিপেন্ডেন্ট।
“এ ধরনের বহু দেশের অভিযানের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি, এ খাতে অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রগুলোর সঙ্গে মোকালেবার বিষয়টি যথেষ্ট কঠিন।” – বলেছেন এএপিএ’র সহ-সভাপতি মার্ক মুলরেডি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন অবৈধ স্ট্রিমিং ফোরাম পর্যবেক্ষণসহ ইইউ’র আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইউরোপোলের দুই বছরব্যাপী তদন্তের পরই হয়েছে এ অভিযান।
অভিযানে কপিরাইট লঙ্ঘন ছাড়াও অর্থ পাচার এবং সাইবার অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে ইউরোপোল।
অভিযান চলাকালীন অন্তত ২৯টি কম্পিউটার সার্ভারের পাশাপাশি জব্দ হয়েছে প্রায় শতাধিক আইপিটিভি ডিভাইস, যা অবৈধভাবে চুরি করা সিনেমা, সিরিজ এবং টিভি চ্যানেল দেখাতে ব্যবহার হয়েছিল।
পাশাপাশি, অবৈধভাবে বিনামূল্যে সরাসরি স্ট্রিম হয়েছে এমন সন্দেহে একশটি ওয়েবসাইট এবং ডোমেইনও বাজেয়াপ্ত হয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।