চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাজিউর ও অন্যান্য ক্লাউড সেবা থেকে মাইক্রোসফটের আয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ, এআই সেবা থেকে বেড়েছে ১২ শতাংশ পয়েন্ট।
Published : 04 Jan 2025, 07:50 PM
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের কাজের চাপ সামলাতে পারে এমন ডেটা সেন্টার তৈরিতে ২০২৫ অর্থবছরে আট হাজার ডলার খরচের পরিকল্পনা করছে মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফটের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ বলেছেন, প্রত্যাশিত এআইভিত্তিক ডেটা সেন্টার তৈরিতে অর্ধেকেরও বেশি খরচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে। মাইক্রোসফটের এই ২০২৫ অর্থবছর শেষ হবে জুনে।
“একদিকে এইতে বেসরকারি বিনিয়োগ, অপরদিকে নানা আকারের মার্কিন কোম্পানিগুলোর উদ্ভাবনের ফলে বিশ্বে এআইতে নেতৃত্ব দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এসব কোম্পানির মধ্যে স্টার্ট-আপ থেকে শুরু করে সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানি রয়েছে।”
বেশ কয়েকটি শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানি বিভিন্ন এআই মডেলের প্রশিক্ষণ ও চালানোর জন্য এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট বা চিপে শত শত কোটি ডলার খরচের জন্য ছুটছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।
২০২২ সালের শেষের দিকে চালু হওয়া ওপেনএআইয়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির ব্যবহার দ্রুত বেড়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন কোম্পানি নিজস্ব জেনারেটিভ এআই তৈরির জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু করেছে।
ওপেনএআইয়ে এক হাজার তিনশ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করার পর স্টার্টআপটিকে ক্লাউড অবকাঠামো সরবরাহ করে মাইক্রোসফট। একইসঙ্গে উইন্ডোজ, টিমস ও অন্যান্য বিভিন্ন পণ্যেও ওপেনএআইয়ের বিভিন্ন মডেল যোগ করেছে টেক জায়ান্টটি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাজিউর ও অন্যান্য ক্লাউড সেবা থেকে মাইক্রোসফটের আয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ, এআই সেবা থেকে বেড়েছে ১২ শতাংশ।
বিদেশে শিক্ষা ও মার্কিন এআই প্রযুক্তির বাজার পেতে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন স্মিথ।
“চীনারা বুদ্ধিমানের মতো স্বীকার করে, কোনো দেশ যদি চীনের এআই প্ল্যাটফর্মকে মানসম্মত মনে করে, তবে সম্ভবত ভবিষ্যতেও ওই দেশ তাদের প্ল্যাটফর্মটির উপরই নির্ভর করবে।”
“যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে ভালো জবাব হচ্ছে, প্রতিযোগিতা নিয়ে অভিযোগ না করে বরং এগিয়ে থাকা দৌড়ে জয় নিশ্চিত করা। এর জন্য আমেরিকান এআইকে উন্নত সমাধান হিসেবে প্রচার করার জন্য আমাদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে এগিয়ে যেতে হবে।”