ফোন, স্মার্ট স্পিকার, অন্যান্য ইন্টারনেট বা মাইক্রোফোন রয়েছে এমন ডিভাইস ব্যবহারকারীদের ফোনে আড়িপাতা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে উদ্বেগের পর এ খবরটি এল।
Published : 05 Sep 2024, 03:53 PM
ফোন কি আমাদের সব কথা শুনছে বা শুনতে পায়? এ নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। নতুন এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, একটি কোম্পানি অবশেষে স্বীকার করেছে যে, বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন পাঠানোর উদ্দেশ্যে ফোন আমাদের কথা সত্যিই শুনছে।
আমেরিকান গণমাধ্যম ‘কক্স মিডিয়া গ্রুপ বা সিএমজি’র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ‘অ্যাকটিভ লিসনিং বা সক্রিয় শ্রবণ’ প্রযুক্তি রয়েছে ফোনে, যা ফোনের আশপাশে থাকাকালীন ব্যবহারকারীরা কী বলে তা ক্রমাগত শুনতে সাহায্য করে। এরপর বিভিন্ন বিজ্ঞাপন তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় সেই তথ্য।
ফোন, স্মার্ট স্পিকার, অন্যান্য ইন্টারনেট বা মাইক্রোফোন রয়েছে এমন ডিভাইস ব্যবহারকারীদের ফোনে আড়িপাতা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে উদ্বেগের পর এ খবরটি এল, যেখানে ব্যবহারকারীরা একই ডিভাইসের মাধ্যমে নজরদারির শিকার হচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
প্রতিবেদন কী বলছে?
‘কক্স মিডিয়া গ্রুপ বা সিএমজি’-এর এ প্রতিবেদনটি এসেছে মার্কেটিং উপস্থাপনা থেকে। যেখানে উল্লেখ আছে, ‘অ্যাকটিভ লিসনিং’ টুল থেকে সংগৃহীত ডেটা ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন তৈরিতে সহায়তা করা যেতে পারে। ব্যবহারকারীরা কী নিয়ে কথা বলছে তা শোনার জন্য এ প্রযুক্তিটি মাইক্রোফোন ব্যবহার করে।
এ প্রযুক্তিটির ব্যবহারকারী হিসাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে ফেইসবুক, গুগল, অ্যামাজনসহ অন্যান্য শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানির গ্রাহক, ক্রেতা বা অংশীদারদের দিকে। তবে প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই যে, এসব কোম্পানি শোনার জন্য কোনো প্রযুক্তির ব্যবহার আদৌ করছে কি না। এসব কোম্পানিও ব্যবহারকারীদের কথা শোনার বিষয়টি বারবার অস্বীকার করে এসেছে।
এদিকে, এ বিষয়ে ইন্ডিপেনডেন্টের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি সিএমজি।
ব্যবহারকারীদের জন্য কী সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে?
আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড উভয় ডিভাইসের নিজস্ব প্রাইভেসি নির্দেশক রয়েছে। এর মাধ্যমে দেখা যায় কখন কোন অ্যাপ ফোনের মাইক্রোফোন বা ক্যামেরায় প্রবেশ করছে। এগুলো ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য প্রয়োজনীয় ও অ্যাপের মাধ্যমে সহজে এড়ানো যায় না। তাই যখনই ব্যবহারকারীরা ফোনের স্ক্রিনের কোণে এ নির্দেশকটি দেখবেন তখন বুঝতে হবে যে, কোনও অ্যাপ হয়তো ব্যবহারকারীর তথ্য রেকর্ড করছে।
গুগল ও অ্যামাজনের তৈরি স্মার্ট স্পিকারের মতো অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও এ ধরনের ফিচার কম আছে। তবে গুগল ও অ্যামাজন উভয়েরই হার্ডওয়্যার মিউট করার বাটন রয়েছে, ফলে এতে প্রেস করলে অন্য কেউ ব্যবহারকারীর ফোনের মাইক্রোফোনটির ব্যবহার করতে পারবে না।
শেষ পর্যন্ত এ ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে, অনেকটা ইন্টারনেটের মতো। তবে এখনও পর্যন্ত এমন কোনো ইঙ্গিত মেলেনি যে, কোনও বড় নির্মাতা বা বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানি অন্তত মাইক্রোফোনের মাধ্যমে প্রাইভেসির বিষয়ে যা বলে তা আসলেই মেনে চলছে না।