প্রিমিয়ার লিগে শুরুর দুই ম্যাচেই হার, পারফরম্যান্সও যাচ্ছেতাই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে দলটির কোচ এরিক টেন হাগও পড়েছেন সমালোচকদের তোপের মুখে। তবে প্রতিপক্ষ কোচের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। লিভারপুল কোচ মনে করছেন, এখনই টেন হাগের মূল্যায়ন করে ফেলাটা ঠিক নয়।
অনেক দিন ধরেই ইউনাইটেড ঠিক ইউনাইটেডের মতো নেই। টিকে আছে নিজেদের ছায়া হয়ে। গত মৌসুমে যেমন টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছে। ফলে এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মঞ্চেও দেখা যাবে না তাদের।
ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নতুন মৌসুমের আগে দলটির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় টেন হাগের কাঁধে। কিন্তু তার শুরুটাও হয়েছে খুবই হতাশায়।
ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিওনের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-১ গোলের হার দিয়ে এবারের প্রিমিয়ার লিগ শুরু করে ইউনাইটেড। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডের মাঠে ৪-০ গোলে উড়ে যায় তারা। টেবিলে এখন টেন হাগের দলের অবস্থান তলানিতে।
স্বাভাবিকভাবেই মৌসুমের শুরুতেই চাপে আছেন টেন হাগ। সোমবার তার দলের বিপক্ষেই খেলবে লিভারপুল। তবে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষকে নিয়ে বেশ ইতিবাচক কথাই বললেন ক্লপ। এই জার্মান পাশে দাঁড়ালেন টেন হাগেরও।
ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ইউনাইটেডের হারের পর ‘টকস্পোর্ট’ রেডিওতে টেন হাগের কড়া সমালোচনা করেন সাবেক ইংলিশ ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল অ্যাগবানলাহোর। অ্যাস্টন ভিলার এই সাবেক স্টাইকার ইউনাইডের ক্রিস্তিয়ান এরিকসন, দাভিদ দে হেয়া ও লেয়ান্দ্রো মার্তিনেসের মতো খেলোয়াড়কে ‘যথেষ্ট ভালো নয়’ বলে মন্তব্য করেন।
অ্যাগবানলাহোর যেভাবে সমালোচনা করছিলেন, তা মোটেও ভালো লাগেনি ক্লপের। একজন সাবেক খেলোয়াড়ের সমালোচনার ভাষায় এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে, আরেকটু হলে রেডিও স্টেশনে ফোনই দিতে যাচ্ছিলেন এই জার্মান কোচ!
“ব্রেন্টফোর্ড ম্যাচের পর ইউনাইটেডের জন্য সপ্তাহটা মোটেও ভালো ছিল না। আমরা ভুলে যাচ্ছি ব্রেন্টফোর্ড কতটা ভালো দল। আমি প্রথমার্ধ (ইউনাইটেড-ব্রেন্টফোর্ড ম্যাচ) দেখেছি, এরপর বাড়ি ফিরে টকস্পোর্ট শুনেছি।”
“গ্যাব্রিয়েল অ্যাগবানলাহোর আমার প্রথম বছরে আমাদের বিপক্ষে ৬-০ গোলে হেরেছিল। মাঠে আমি তাকে মানসিকভাবে খুব শক্তপোক্ত মনে করতে পারি না। কিন্তু রেডিও শোতে ইউনাইটেডকে নিয়ে সে কী বলল…আমি প্রায় কলই দিচ্ছিলাম এবং বলতে চাচ্ছিলাম, ‘তুমি পুরোপুরি ভুলে গেছো যে তুমি একজন খেলোয়াড়।’”
একজন খেলোয়াড়ের এভাবে সমালোচনা করাটা মেনে নিতে পারছেন না ক্লপ।
“এটা অবিশ্বাস্য ছিল। সাবেক খেলোয়াড়রা যদি এমন অবস্থানে চলে যায়, তাহলে ভাবা যায় বাকি সবকিছু কোথায় যাচ্ছে।”