সিলেট নগরীর মিরাবাজারের মা ও ছেলেকে হত্যা মামলায় এক দম্পতিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নুরে আলম ভূঁইয়া দুই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি পিপি জোবায়ের বখত জুবের জানান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন তানিয়া আক্তার ও তার স্বামী ইউসুফ খান মামুন। মামুনের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশায়। তানিয়া নিহতদের বাড়িতে গৃহকর্মী ছিলেন।
মামলার বরাতে পিপি জোবায়ের বলেন, ২০১৮ সালে মীরাবাজার এলাকায় রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে রবিউল ইসলামকে তাদের বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করেন গৃহকর্মী তানিয়া ও তার স্বামী মামুন।
“সেই সময় রোকেয়া বেগমের ছোট মেয়ে রাইসাকেও কুপিয়ে জখম করেন তারা। খুন করার আগে তানিয়া রাতের খাবারের সঙ্গে তাদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করেন।”
পিপি আরও জানান, পরদিন সকালে মা ও ছেলের মরদেহ এবং শিশু রাইসাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
রোকেয়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর কলকলি গ্রামের হেলাল মিয়ার স্ত্রী।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই জাকির হোসেন অজ্ঞাত পরিচয় চারজনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
জোবায়ের বলেন, ওই বছরের ১০ এপ্রিল কুমিল্লা থেকে গৃহকর্মী তানিয়া ও তার স্বামী ইউসুফকে আটক করে পিবিআই। পরে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
তানিয়া ও মামুনকে ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি মামুনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা; যা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছরের সাজা দেওয়া হয় বলে জানান আইনজীবী জোবায়ের।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাউর রহমান আলম জানান, রোকেয়ার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে ও তার ছেলে-মেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা করেন গৃহকর্মী তানিয়া ও তার স্বামী মামুন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী দিদার আহমেদ।