কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিকাশ এজেন্টের ছিনতাই হওয়া বাকি সাড়ে ৬ লাখ টাকা উদ্ধার ও ঘটনার হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার জিয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার ও টাকাগুলো উদ্ধার করা হয় বলে বুধবার বিকালে কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান।
গ্রেপ্তার মো. মোস্তফা (৩০) টাকা ছিনতাইয়ের মামলার তিন নম্বর আসামি।
গত ১৯ এপ্রিল বিকাশ এজেন্টদের কাছে বিলি করার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে ভূরুঙ্গামারী থেকে সোনাহাট ক্যাম্পের মোড়ের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন বিকাশ এজেন্ট কর্মী শুভ কুমার রায় ও শ্রী বিদ্যুৎ চন্দ্র।
দুপুর ১২টার দিকে ভূরুঙ্গামারীর ভরতেরছড়া এলাকায় ছিনতাইকারীরা পরিকল্পিতভাবে পেছন থেকে তাদের চলন্ত মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।
এতে শুভ ও বিদ্যুৎ চন্দ্র রাস্তার উপড় পড়ে যান। এ সুযোগে শুভ কুমারের কাছে থাকা ১৫ লাখ টাকার ব্যাগ নিয়ে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, ঘটনার পরপরই কচাকাটা ও ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ প্রসেনজিৎ, খাদিমুল ও তাদের সহায়তাকারী মোন্নফকে কচাকাটা থানার ছনবান্দা খলিশাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
সে সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। সেইসঙ্গে জব্দ করে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল।
এ ঘটনায় মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির আদালতে জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে নাগেশ্বরী থানার কুটিপয়রাডাঙ্গা গ্রামের রুহুল আমিন (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
সবশেষ ছিনতাইয়ের হোতা ও পরিকল্পনাকারী মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ৬ লাখ ৬০ হাজার উদ্ধার করে পুলিশ।
কুড়িগ্রামের এসপি আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার ও ছিনতাইয়ের ১৫ লাখ টাকার মধ্যে মোট ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।