গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদে ভোটের পর নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনতাই চেষ্টা ও সংহিসতার ঘটনায় দুই মামলায় অজ্ঞাত এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ জানান, সোমবার রাতে থানার এসআই গণেশ বিশ্বাস ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরমানিকদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইজিং অফিসার সেলিম তালুকদার বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন।
ওসি জাবেদ জানান, সোমবার লতিফপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট শেষে সাবু মোল্লাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে সদস্য পদপ্রার্থী তিনজন মতিয়ার রহমান ফকির, পলু মোল্লা ও ইব্রাহিম কাজী পরাজিত হন।
“ভোট শেষে সন্ধ্যায় নির্বাচনী মালামাল নিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা জেলা সদরে ফিরছিলেন। পথে একদল লোক হামলা চালিয়ে ইভিএমসহ নির্বাচনী মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।”
এ সময় সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ওসির গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করা হয়। এতে ওসি ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর ১০ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পরে সোমবার রাতে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার দায়ে অজ্ঞাত চারশ-পাঁচশ জনকে আসামি করে এসআই গণেশ বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
অপরদিকে, ইভিএমসহ নির্বাচনী মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় অজ্ঞাত চারশ-পাঁচশ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন প্রিজাইজিং অফিসার সেলিম তালুকদার বাদী হয়ে ।
এ দিকে সংঘর্ষের পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন