Published : 15 Aug 2023, 05:06 PM
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সাঈদী ফাউন্ডেশন মাঠে দুই দফা জানাজা শেষে সেখানেই মসজিদ সংলগ্ন ছেলের কবরের পাশে তাকে শায়িত করা হয়।
জানাজায় ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হওয়া ছেলে শামীম সাঈদী পৌঁছাতে না পারায় তাকে ছাড়াই জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। তবে জানাজায় ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে সাঈদী ফাউন্ডেশন মাঠে পৌঁছে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি। এ সময় আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিপুল সংখ্যক ভক্ত-সমর্থক সেখানে জড়ো হয়। এ সময় তাদের স্লোগান দিতেও দেখা যায়।
একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের তখনকার নায়েবে আমির সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে ২০১৪ সালে আপিল বিভাগ সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।
কাশিমপুর কারাগারে বন্দি সাঈদী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। সোমবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
সাঈদীর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ‘হার্ট অ্যাটাকে’ তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. রেজাউর রহমান জানিয়েছেন।
একাত্তরে ‘দেইল্লা রাজাকার’ হিসেবে পরিচিত সাঈদী পরে ইসলাম ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিতি কুড়ান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জামায়াতের মনোনয়নে পিরোজপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন