ফরিদপুরের মধুখালীর ইউএনও মো. আশিকুর রহমান চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামানকে দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।
সোমবার ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মারুফ হাসান এ আদেশ দেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুখালী থানার এসআই চম্পক কুমার বড়ুয়া।
এ ছাড়া এ মামলায় গ্রেপ্তার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম মৃধা (১৯), মো. প্রিন্স মোল্লা (৩২) ও কবিরুল বিশ্বাসেরও (৪০) একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
গ্রেপ্তার চার আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা। পাশাপাশি আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করে।
শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিনের আবেদন খারিজ করে এবং ইউপি চেয়ারম্যানের দুইদিন ও বাকি তিনজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এর জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকাবাসীর মানববন্ধন চলাকালে ইউএনও সেখানে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এলাকাবাসী মাইকিং করে লোক জড়ো করে হামলা চালায়।
এতে ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সময় একটি সরকারি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
এ ঘটনায় মধুখালী থানার এসআই প্রবীর কুমার এবং ইউএনওর গাড়ি চালক সুমন শেখ বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেন।
দুই মামলাতেই এক নম্বর আসামি করা হয় ডুমাইন ইউপি চেয়ারমান উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামানকে। পরে পুলিশ শাহ মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় আহত ইউএনও মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসা নিয়ে শনিবার হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক এনামুল হক।
বর্তমানে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মধুখালী থানার ওসি শহীদুল ইসলাম।