নারী ফুটবলারদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শেরপুরে মানববন্ধন

অবিলম্বে হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসমগ্র
Published : 13 August 2023, 11:57 AM
Updated : 13 August 2023, 11:57 AM

খুলনার বটিয়াঘাটায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে শেরপুরে মানববন্ধন হয়েছে।

রোববার দুপুরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শেরপুর শহরের পৌর টাউন হলের সামনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ মানববন্ধন করে।

মানববন্ধনে নারী নেত্রী আঞ্জুমানারা জুঁথির সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন শেরপুর জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি জয়শ্রী নাগ লক্ষ্মী।

এ সময় শেরপুর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নীরু শামসুন্নাহার নীরা, সাংগঠনিক সম্পাদক আইরিন পারভীন, প্রবীণ ফুটবল কোচ সাধন বসাক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল।

এ ছাড়া বিভিন্ন নারী সংগঠন, ক্রীড়া সংগঠন ও খেলোয়াড় উপস্থিত ছিলেন কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

বক্তারা বলেন, নারী ফুটবলারদের ওপর হামলার পর পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় তারা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ কারণে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা।

তাই অবিলম্বে হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।

২৭ জুলাই খুলনার বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলা গ্রামের সুপার কুইন ফুটবল একাডেমিতে অনুশীলনের সময় নুপুর খাতুন নামে এক নারী মোবাইলে খুলনা অনুর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল দলের সদস্য সাদিয়া নাসরিনের একটি ছবি তোলেন। পরে সেই ছবি সাদিয়ার বাবা-মাকে দেখিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করেন এবং তাদের অপমান-অপদস্ত করেন। এ নিয়ে সাদিয়ার বাবা-মা তাকে বকাঝকা করেন।

২৯ জুলাই বিকালে ছবি তুলে কেন বাবা-মাকে দেখিয়ে আজেবাজে কথা বলা হয়েছে সে ব্যাপারে সাদিয়া নুপুরের কাছে জানতে চান। এ নিয়ে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নুপুর গালিগালাজ করেন।

একাডেমি কর্তৃপক্ষ, কোচ, নারী ফুটবলাররা এর প্রতিবাদ করতে নুপুরের বাড়িতে গেলে নুপুরের ভাই আলাউদ্দিন, সালাউদ্দিন, বাবা নুর আলম, মা রঞ্জি বেগম ও আত্মীয় মনোয়ারা তাদের ওপর হামলা চালান। এতে চার খেলোয়াড় আহত হন। হামলার সময় নুর আলমের লোহার রডের বাড়িতে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় মঙ্গলী বাগচী। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় উপজেলার তেঁতুলতলা স্কুল মাঠ এলাকার সালাউদ্দিন (২২), নুর আলম (৪৮), রঞ্জি বেগম (৪০), মনোয়ারা বেগম (৫৫) ও নুপুর খাতুন (২২) ও এক কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাদিয়া। বাদীর অভিযোগ, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। 

আরও পড়ুন:

Also Read: মামলা তুলে নিতে আসামিদের হুমকি, নিরাপত্তাহীনতায় নারী ফুটবলাররা

Also Read: নারী ফুটবলারের পরিবারকে অপমান, প্রতিবাদ করায় মারধর, গ্রেপ্তার ১

Also Read: নারী ফুটবলারদের ওপর হামলার বিচার দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন