হুমকির অভিযোগের বিষয়ে মামলার আসামি নুপুর খাতুনের মোবাইল টেলিফোনে একাধিকবার কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Published : 02 Aug 2023, 08:43 PM
খুলনার বটিয়াঘাটায় চার নারী ফুটবলারকে মারধরের ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে এসিড নিক্ষেপসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে; আসামিদের হুমকিতে অনুর্ধ্ব-১৭ দলের এই খেলোয়াড়রা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন।
হুমকির ঘটনায় সোমবার বটিয়াঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী নারী ফুটবলার সাদিয়া আক্তার তিন্নি।
সাদিয়া বলেন, “আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। তা না হলে আমাকে ও একাডেমির টিম মেম্বারদের শরীরে এসিড নিক্ষেপ করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি আসামিরা নিজেদের ক্ষতি করে আমাদের সবার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করবে বলেও হুমকি দিয়েছে।”
বটিয়াঘাটা থানার উপপরিদর্শক কৌশিক কুমার সাহা বলেন, “মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। সাধারণ ডায়রির বিষয়টি আমরা আদালতকে জানিয়ে তদন্তের অনুমতি চেয়েছি।”
হুমকির অভিযোগের বিষয়ে মামলার আসামি নুপুর খাতুনের মোবাইল টেলিফোনে একাধিকবার কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাদের বাড়ির প্রধান ফটকও তালাবদ্ধ ছিল।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তেঁতুলতলা গ্রামের সাদিয়া নাসরিন স্থানীয় ‘সুপার কুইন ফুটবল একাডেমিতে’ নিয়মিত অনুশীলন করতেন।
গত বৃহস্পতিবার একাডেমিতে অনুশীলনের সময় নুপুর খাতুন নামে এক নারী মোবাইলে সাদিয়া নাসরিনের একটি ছবি তোলেন। পরে সেই ছবি সাদিয়ার বাবা-মাকে দেখিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করেন এবং তাদের অপমান-অপদস্ত করেন। এ নিয়ে সাদিয়ার বাবা-মা তাকে বকাঝকা করেন।
শনিবার বিকালে ছবি তুলে কেন বাবা-মাকে দেখিয়ে আজেবাজে কথা বলা হয়েছে সে ব্যাপারে সাদিয়া নুপুরের কাছে জানতে চান। এ নিয়ে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নুপুর গালিগালাজ করেন এবং প্রতিবাদ করলে মারধর করেন বলে মামলায় বলেছেন সাদিয়া।
সাদিয়া বলেন, এসময় নুপুরের ভাই আলাউদ্দিন, সালাউদ্দিন, বাবা নুর আলম, মা রঞ্জি বেগম ও আত্মীয় মনোয়ারা তাদের ওপর হামলা চালান। এতে তারা চার খেলোয়াড় আহত হন। হামলার সময় নুর আলমের লোহার রডের বাড়িতে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় মঙ্গলী। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় উপজেলার তেঁতুলতলা স্কুল মাঠ এলাকার সালাউদ্দিন (২২), নুর আলম (৪৮), রঞ্জি বেগম (৪০), মনোয়ারা বেগম (৫৫) ও নুপুর খাতুন (২২) ও এক কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাদিয়া। ওই মামলায় নুর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
নারী ফুটবলারের পরিবারকে অপমান, প্রতিবাদ করায় মারধর, গ্রেপ্তার ১