দুর্গাপুরে জলসিঁড়ি পাঠাগারের বার্ষিক অধ্যয়নসভা: ৫ জনকে সম্মাননা

পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বার্ষিক অধ্যয়নসভায় কৃতিজনদের সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।

নেত্রকোণা প্রতিনিধি
Published : 17 Feb 2023, 03:27 PM
Updated : 17 Feb 2023, 03:27 PM

নেত্রকোণার দুর্গাপুরের গাভিনা গ্রামে জলসিঁড়ি পাঠাগারের বার্ষিক অধ্যয়নসভা হয়েছে। সভায় পাঁচজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

শুক্রবার বিকালে পাঠাগার প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভার উদ্বোধন করেন লেখক সেলিম জাহান।

কবিতাব্রতী শামীম আজাদ, রানা নাগ, চিকিৎসাব্রতী গণপতি আদিত্য, গল্পব্রতী কিযী তাহনিন এবং সংবাদব্রতী মুহম্মদ আকবরকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর এই পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে   বার্ষিক অধ্যয়নসভায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা কৃতিজনদের সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।

এবারের অধ্যয়নসভায় পাঠাগারটির সভাপতি মানেশ সাহা সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক দীপক সরকার।

প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নেত্রকোণা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অসিত সরকার সজল।

এ ছাড়া বক্তব্য দেন লেখক সেলিম জাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক বাচ্চু, সংস্কৃতিজন প্রবীর মজুমদার চন্দন, নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান।

সেলিম জাহান বলেন, “গ্রামে পাঠকেন্দ্র এবং পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে চায় জলসিঁড়ি পাঠাগার। এ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য রবীন্দ্রনাথের- মুক্ত হও, শুদ্ধ হও, পূর্ণ হও এবং নজরুলের- গাহি সাম্যের গান।”  

অসিত সরকার সজল বলেন, “অধ্যয়নে আত্মজাগরণ হয়। তাই অধ্যয়নের বিকল্প নেই। নতুন প্রজন্মকে অধ্যয়নে ধরে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কথায় যে জাগরণ হয়েছিল তার পথ ধরেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে।” 

দীপক সরকার বলেন, “নিজের এবং বিভিন্ন জনের দান-অনুদানে পাঠাগারটির পথচলা। পাঠাগারটিতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। এলাকার শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ এখানে অধ্যয়ন করেন।”

তিনি বলেন, “বই পড়ায় উৎসাহী করতে শিক্ষার্থীদের কাছে ১০ টাকায় বই বিক্রি করেছে। জেলার সব উপজেলায় দুটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার বই বিক্রি করা হয়। গত বছরের বিজয়ের মাসে এই এক হাজার বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। গত সপ্তাহে এই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।”

বই পড়ে এক মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীরা পাঠ প্রতিক্রিয়া জানানোর পর সেরা ১০ জনকে পুরস্কৃতও করা হবে।”

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভর্তুকি দিয়ে নামমাত্র মূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয় বলে জানান দীপক সরকার।