বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ধারণা করে শত কোটি টাকার বেশি ক্ষতির দাবি করেছে পাটকলটির মালিক পক্ষ।
Published : 04 Apr 2024, 09:48 AM
ফায়ার সার্ভিস ও নৌ বাহিনীর ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় খুলনার রূপসায় সালাম জুট মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন শিকদার বলেন, বুধবার রাত দেড়টার দিকে পাটকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে চারটি গোডাউনে থাকা কাঁচা পাট ও প্রক্রিয়াজাত অবস্থায় থাকা সব পাটই পুড়ে গেছে।
এর আগে বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রূপসা উপজেলার ৩ নম্বর নৈহাটি ইউনিয়নের জাবুসা চৌরাস্তা সংলগ্ন সালাম জুট মিলে আগুন লাগে। পাটকলের বাইরে থেকে আগুনের কুণ্ডলী দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবেও আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলতে থাকে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কর্মরত শ্রমিকরা ভয়ে পাটকলের গুদাম থেকে বেরিয়ে আসেন।
ফারুক হোসেন জানান, খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ও পরে খুলনার বিভিন্ন স্টেশন থেকে আরও ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। যোগ দেয় নৌ বাহিনীরও দু’টি ফায়ার ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, “অল্প সময়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এবং পাটকলটিতে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব ব্যবস্থা না থাকায় বেগ পেতে হয়েছে।
“আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তদন্তের পরেই এসব জানা যাবে।”
এদিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ধারণা করে শত কোটি টাকার বেশি ক্ষতির দাবি করেছে পাটকলটির মালিক পক্ষ।
পাটকলটির ব্যবস্থাপক বশির আহম্মেদ বলেন, “আমাদের চারটি গোডাউন ছিল। এর মধ্যে একটিতে প্রক্রিয়াজাত পাট আর বাকি তিনটিতে কাঁচা পাট ছিল।
“৩ নম্বর গুদামে অবস্থিত একটি মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শর্ট সার্কিট হয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে ২ নম্বর ও ১ নম্বর গুদামেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।”
পাটকলটির স্বত্বাধিকারী এম এম এ সালাম সাংবাদিকদের জানান, তিনটি গুদামে ৭৫০ টন উৎপাদিত পণ্য ছিল, যার আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া ১ হাজার ৩০০ টন কাঁচাপাট ছিল, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ কোটি।
এছাড়া যন্ত্রপাতিসহ আরও অনেক পণ্য গুদামে ছিল বলে জানান তিনি।
তিনি দাবি করেন, আগুনে সবমিলিয়ে ১০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন