আদিতমারীতে যাত্রাবিরতির দাবিতে বুড়িমারী এক্সপ্রেস অবরোধ

আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, “দাবি মেনে নেওয়া না হলে আবারও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করা হবে।”

আদিতমারী স্টেশনে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে রাখেন স্থানীয়রা।

লালমনিরহাটের আদিতমারী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবিতে উদ্বোধনের দিনেই বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। 

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আদিতমারী স্টেশনে প্রায় ১৫ মিনিট ট্রেনটি আটকে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন স্টেশন মাস্টার পর্নিকা রায়। 

তিনি জানান, লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারী এক্সপ্রেস আদিতমারী স্টেশনে পৌঁছালে রেল লাইনে শুয়ে অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পরে দাবি পূরণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। 

অবরোধকারীরা বলছেন, জেলাবাসীর দীর্ঘ দাবির ফসল বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন। কিন্তু জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে অন্যতম আদিতমারী স্টেশনে যাত্রাবিরতি না রেখেই পরিপত্র জারি করা হয়। এতে করে উপজেলাবাসীর ভোগান্তি কমবে না। 

আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এই স্টেশনে যাত্রাবিরতি না থাকলে আমাদের কোনো উপকারেই আসবে না। এমনকি আমাদের ভাগে কোনো টিকেটও থাকবে না। এখানে টিকেট কাটারও সুযোগ থাকবে না। তাই আমরা এ সকল সুযোগ চাই। 

“নিরাপদ ভ্রমণ ও উপজেলার কৃষি পণ্য পরিবহনে এই স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি আমাদের। দাবি মেনে নেওয়া না হলে আবারও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করা হবে।”

রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবদুস সালাম বলেন, “বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবির বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে। “ 

এর আগে সোমবারও এ দাবি নিয়ে মানববন্ধন-সমাবেশ করেছেন স্থানীয়রা।  এছাড়া বুড়িমারীতে উদ্বোধন শেষে মঙ্গলবার বিকালে ফেরার পথে রেলওয়ে জিএমের ট্রেন আটকেও বিক্ষোভ করেন আদিতমারী উপজেলাবাসী। 

আরও পড়ুন

উদ্বোধনের দিনেই বুড়িমারী এক্সপ্রেসে ঢিল, ভাঙল জানালার কাচ

বুড়িমারী এক্সপ্রেস: চালু হল দেশের দীর্ঘতম রেলপথ

অবশেষে চালু হচ্ছে ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’, যাত্রাবিরতির দাবি