Published : 29 Apr 2025, 09:50 AM
কানাডার সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি আবারও জয় পেতে যাচ্ছে বলে প্রাথমিক ফলাফলে আভাস মিলেছে।
তবে মার্ক কার্নির দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিটিভি নিউজ ও সিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের ধাক্কা সামলাতে এবং কানাডাকে মার্কিন ‘অঙ্গরাজ্য’ বানানোর হুমকি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি নির্বাচনের আগে জাতির কাছে 'শক্তিশালী ম্যান্ডেট' চেয়েছিলেন।
তবে সোমবারের ভোটে লিবারেলরা এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৭২টি আসনে জয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
চূড়ান্ত ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের ভোটের ফলাফলের জন্য, যেখানে সর্বশেষ ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৩৪৩ আসনের পার্লামেন্টে লিবারেলরা ১৩৩টি আসনে জয়ী হয়েছে বা এগিয়ে রয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টি এগিয়ে রয়েছে ৯৩টি আসনে।
কার্নি নির্বাচনী প্রচারে শুল্ক প্রশ্নে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমাতে কানাডাকে হয়ত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে।
তবে নয় বছরের বেশি সময়ের লিবারেল শাসনের পরিবর্তনের ডাক দিয়ে কনজারভেটিভরাও তুলনামূলক ভালো ফল করছে।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে কার্নিকে অন্য ছোট দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সরকার গঠনের পথে যেতে হবে। কানাডার ইতিহাস বলছে, এ ধরনের জোট সরকার সেখানে দুই থেকে আড়াই বছরের বেশি টেকে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের আগে গত জানুয়ারির জনমত জরিপে ২০ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়েছিল লিবারেল পার্টি। কিন্তু ট্রাম্পের শুল্ক আর কানাডাকে ’৫১তম রাজ্য’ বানানোর খায়েশ উত্তর আমেরিকার দেশটির রাজনীতিকে উল্টেপাল্টে দিয়েছে, মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টিতে সঞ্চার করেছে নতুন প্রাণ।
এর আগে ২০০৪ সালে লিবারেলরাই সর্বশেষ টানা চারটি নির্বাচন জিতেছিল। দলের জনপ্রিয়তা তলানিতে নামার পর এ বছরের শুরুতে দায়িত্ব ছেড়ে দেন ২০১৫ সাল থেকে কানাডা শাসন করা জাস্টিন ট্রুডো।
তার এক দশকের শাসনকালকে ‘অবক্ষয়ের শাসন’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছিলেন কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভ্রে। লিবারেলদের হাতে ‘ভেঙে পড়া’ কানাডাকে উদ্ধারে তিনি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। সোমবারের নির্বাচনের প্রাথমিক ফল স্বাভাবিকভাবেই তাকে হতাশ করবে।
তবে নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল নিয়ে কার্নি কিংবা পয়েলিভ্র শিবিরের তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।