Published : 28 Apr 2025, 03:14 PM
কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর ‘উস্কানি’ ও ‘সাম্প্রদায়িকভাবে স্পর্শকাতর বিষয়বস্তু’ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে ভারত। নয়া দিল্লি সরকার বিবিসিকেও সতর্ক করেছে।
ভারতের সরকারি সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এই চ্যানেলগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যেগুলোর মোট গ্রাহক ছয় কোটি ৩০ লাখ।
যে ইউটিউব চ্যানেলগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে ডন, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, রাফতার, জিও নিউজ ও সুনো নিউজের সংবাদ আউটলেট রয়েছে। এর পাশাপাশি পাকিস্তানি সাংবাদিক ইরশাদ ভাট্টি, আসমা শিরাজী, উমর চিমা ও মুনীব ফারুকের ইউটিউব চ্যানলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধের এ তালিকায় পাকিস্তান রেফারেন্স, সামা স্পোর্টস, উজাইর ক্রিকেট এবং রাজি নামা নামের চ্যানেলও আছে।
এনডিটিভি লিখেছে, ভারতীয় সরকারি সূত্রগুলোর ভাষ্য অনুযায়ী, এসব ইউটিউব চ্যানেলগুলো প্রতিবেশীদের মধ্যে টানাপোড়েনের মধ্যে ভারত, তার সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও সাম্প্রদায়িকভাবে স্পর্শকাতর বিষয়বস্তু, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর আখ্যান এবং ভুল তথ্য প্রচার করছিল।
ভারত থেকে কেউ এসব চ্যানেলে প্রবেশের চেষ্টা করলে তিনি একটি বার্তা পাচ্ছেন। তাতে লেখা রয়েছে, “জন শৃঙ্খলা ও জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত সরকারি আদেশের কারণে বর্তমানে এই কন্টেন্টটি এ দেশে অলভ্য রয়েছে।”
‘কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর ভারতীয়দের জন্য ভিসা স্থগিত করেছে পাকিস্তান’, বিবিসি এমন একটি হেডলাইন করার পর ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটিকে সতর্ক করেছে ভারত সরকার। এই হেডলাইনের প্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন ভারতীয় সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন যে এই হেডলাইন যেন বলছে, ‘ভারত পর্যটকদের হত্যা করেছে’।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে তাদের প্রতিবেদনের বিষয়ে ভারতীয়দের ‘তীব্র প্রতিক্রিয়া’ ভারত বিসিসির প্রধান জ্যাকি মার্টিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসি ‘সন্ত্রাসীদের’ ‘জঙ্গি’ হিসেবে উল্লেখ করায় তাদের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রগুলো এনডিটিভিকে জানিয়েছে, ভারত সরকার বিবিসির প্রতিবেদনগুলো পর্যবেক্ষণ করছে।
কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলায় পাকিস্তান একটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছে এমন সন্দেহে দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। নয়া দিল্লি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার পাশাপাশি পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পাল্টায় ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি স্থগিতসহ ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
আরও পড়ুন:
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত, পাকিস্তানের মধ্যে ফের গোলাগুলি