পাথরের সমাধির ওপর একটি সাদা গোলাপ ফুল এবং স্পটলাইটের আলোয় একটি ক্রুশ চিহ্ন জ্বলজ্বল করতে দেখা গেছে ছবিতে।
Published : 27 Apr 2025, 05:47 PM
রোমের সেইন্ট সান্তা মারিয়া মেজোরে ব্যাসিলিকার ভেতরে পোপ ফ্রান্সিসের সমাধির ছবি প্রকাশ পেয়েছে। পাথরের এই সমাধির ওপর একটি সাদা গোলাপ ফুল রাখা থাকতে দেখা গেছে ছবিতে।
পোপ থাকার সময় ফ্রান্সিস যে নামে পরিচিত ছিলেন, সেই নামটি সমাধির ওপর খোদাই করা রয়েছে। সমাধির ওপরের স্পটলাইটের আলোয় জ্বলজ্বল করছে একটি ক্রুশ চিহ্ন।
শনিবার ভ্যাটিকানের সেইন্ট পিটার’স চত্বরে শেষকৃত্যের প্রার্থনসভা অনুষ্ঠানের পর পোপ ফ্রান্সিসের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহবাহী কফিন সমাহিত করতে মেজোরে ব্যাসিলিকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আর্জেন্টাইন এই পোপ সোমবার স্ট্রোক করে ও হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। এক বিবৃতিতে ভ্যাটিকান বলেছে, “এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে ভ্যাটিকানের বাইরে সমাহিত হওয়া প্রথম পোপ তিনি।
তাকে যে গির্জায় সমাহিত করা হয়েছে, সেটি ইতালির রাজধানী রোমের চারটি প্রধান বিশাল গির্জার অন্যতম। কার্ডিনাল এবং পরে পোপ থাকাকালে সেখানে নিয়মিত যেতেন তিনি।
পোপ ফ্রান্সিস বিশেষ করে ভার্জিন মেরির ভক্ত ছিলেন। সান্তা মারিয়া ম্যাজিওরে গির্জাটি চতুর্থ শতকে নির্মিত হওয়ার পর এটিই ছিল ভার্জিন মেরিকে উৎসর্গ করা প্রথম গির্জা।
সেইন্ট সান্তা মারিয়া মেজোরে ব্যাসিলিকা গির্জাটি কলোসিয়ামের কাছে এবং রোমের ব্যস্ত টার্মিনি স্টেশনের কাছে অবস্থিত। এর পরিসর ভ্যাটিকানের চৌহদ্দিরও বাইরে।
ঐতিহ্যগতভাবে পোপদেরকে সমাহিত করা হয় ভ্যাটিকানে। কিন্তু এই গির্জাটি দক্ষিণ আমেরিকান পোপ বিশেষভাবে পছন্দ করতেন।
গির্জাটির জ্যোষ্ঠ পুরোহিত এর আগে এক ইতালীয় এক সংবাদপত্রকে বলেছিলেন, পোপ ফ্রান্সিস ২০২২ সালে এই গির্জায় সমাহিত হতে চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ভার্জিন মেরি তার অনুপ্রেরণা।
শনিবার সেইন্ট পিটার’স চত্বরে ভ্যাটিকানের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রার্থনাসভা শুরু হয়। এই প্রার্থনাসভা শেষ হওয়ার পর একটি বিশেষ গাড়িতে করে পোপের কফিন সান্তা মারিয়া মাজোরে গির্জায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এখানে একান্তে একটি সংক্ষিপ্ত প্রার্থনাসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর কার্ডিনাল চেম্বারলেইন কেভিন জোসেফ ফারেলের নেতৃত্বে পোপ ফ্রান্সিসকে সমাহিত করা হয়।
ভ্যাটিকান জানিয়েছে, ইতালির রাজধানীর রাজপথ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় পোপের কফিনের মিছিল দেখতে প্রায় দেড় লাখ মানুষ রাস্তার পাশে জড়ো হয়েছিলেন।
এর আগে সেইন্ট পিটার্স চত্বরে পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে আড়াই লাখ মানুষ হাজির হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তারা।
আর ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দুই স্থানে অন্তত চার লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।