ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহীম নিহতের ঘটনায় আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে ভোলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলার আবেদন করেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো.সালাহ উদ্দিন জানান।
তিনি আরও জানান, মামলার আবেদনে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরমান হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মোট ৩৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইনজীবী বলেন, “আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক মো. আলী হায়দার ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ ঘটনার সব ডকুমেন্টস ও আলামত আদালতে জমা দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবী বলেন, এখনও তারা এ ব্যাপারে কিছু পাননি।
লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রোববার ভোলা জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে আব্দুর রহীম নিহত হন। আহত হয় পুলিশসহ অর্ধ শতাধিক।
এ সময় গুরুতর আহত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম বুধবার বিকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ভোলায় আধাবেলা হরতাল করেছে বিএনপি।
আব্দুর রহীম নিহতের পর পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একটি এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহীম হত্যার ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
এতে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যানসহ বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করেছে পুলিশ। আসামিদের মধ্যে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর ৩৫০ জন অজ্ঞাত পরিচয়।
আরও পড়ুন: